স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় হারিয়ে যেতে বসেছে গোলপাতা

# বিক্রি না থাকায় অন্য পেশায় গোলপাতা বিক্রেতারা

শেখ ফেরদৌস রহমান: হারিয়ে যেতে বসছে একসময়ে নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষের গোলপাতার ছাউনি ঘর। শীতের সময়ে গরম আর গরমে সময়ে শীত অনুভব এসব গোলপাতা হারিয়ে যাচ্ছে কালের পরিক্রমায়। গোলপাতা নামে গোল না হলেও লম্বা আর নারকেল পাতার মত দেখতে এসব গোলপাতার ব্যবহার নেই বললেই চলে। যে কারণে অনেক গোলপাতা ব্যবসায়িরা এখন ভিন্ন পেশা বেছে নিচ্ছেন । সরেজমিনে দেখা যায় নগরীর খালিশপুরে হাডবোর্ড মিল ঘাট এলাকায় এখন আর আগের মত গোলপাতার দেখা মেলেনা। বর্ষা মৌসুমে গোলপাতার যে একটি ঘ্রান পাওয়া যেত এখন সেই ঘ্রান অনেকটা বিলুপ্ত। একসময়ে রাস্তার দুই পাশে সারিসারিভাবে গোলপাতা সাজিয়ে রাখতো বিক্রেতারা এখন মাত্র দু’একটি ঘার পওয়া যায় যেখানে নাম মাত্র কয়েক কাহণ গোলপাতার সাজিয়ে রাখা আছে।কথা হয় গোলপাতা বিক্রিতা মো. ফেরদৌসর সাথে তিনি বলেন, আগে আমরা এই বর্ষা মৌসুমে দিনে কয়েক কাহণ গোলপাতা বিক্রি করতাম। বর্তমান সময়ে সারা মাসে এক কাহণ গোলপাতা বিক্রি হয়না। এখন নি¤œ ও মধ্য আয়ের সব মানুষের বাড়ীতে টিনের ঘর আছে। বাওয়ালীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফরেষ্ট অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে সুন্দরবন থেকে গোলপাতা সংগ্রহ করে ভৈরব নদীর এই হার্ডবোর্ড খেয়া ঘাট এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ির কাছে সরবরাহ করত। এক সময়ে শতাধিক ব্যবসায়ি ছিল এই এলাকায় এখন নাম মাত্র আমরা দু চার জন কোন রকম টিকে আছি। এসব ব্যবসায়িরা অন্য পেশায় চলে গেছে। এখন সপ্তাহে কয়েক পণ বিক্রি হয়। এক পণে থাকে ৮০টি পাতা। এছাড়া এসব পাতা গুলো যারা ক্রয় করে তারা মূলত ঘরের ছাউনি দেয়ার জন্য ক্রয় করেনা বিভিন্ন জায়গায় সৈন্দর্যবর্ধণ কাজের জন্য ক্রয় করে। বর্তমান একটি গোল পাতা বিক্রি সাড়ে তিন টাকার থেকে শুরু করে সাড়ে চার টাকা পর্যন্ত। আকার ভেদে পাঁচ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হয়। আর এক কাহণে থাকে মোচ ১৬ পণ গোলপাতা। এ বিষয়ে কথা হয় গোলপাতা ক্রয় করতে আসা মো শরিফুল এর সাথে তিনি বলেন, আমি আমার বাড়ী কিছু ভাড়াটিয়াদের ঘর আছে। আমরা সেই কাল হতে এখনও পর্যন্ত গোলপাতার ঘর ব্যবহার করে আসছি। মূলত গোলপাতা ব্যবহারে বেশি থাকা যায়না। আবারও ছাউনি দেয়া লাগে। নতুন ভাবে যতই ভালো গোলপাতা ব্যবহার করা হোক সর্বেচ্চ পাচ বছর ব্যবহার করার পর আবারও মেরামোত করত্ েহয়। তবে টিন বা ছাদের ব্যবহারে এই ঝামেলা থাকেনা । যেকারণে গোলপাতার ব্যবহার বা চাহিদা সব কমেছে। এখন দেখা যায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা পার্কে গোলপাতা ছাউনির ব্যবহার। আমারে পরের প্রজন্ম হয়তো গোলপাতা কি সেই পাতা চিনবে কিনা আমি আপনি কেউ বলতে পারবোনা। গোলপাতার ব্যবহার কমেছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button