স্থানীয় সংবাদ

মাদক কারবারিরা গ্রেফতার হলেও মাদকের পৃষ্ঠপোষকরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে

দিঘলিয়া থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী দিঘলিয়া কন্টিনজেন্টের জোর অভিযান অব্যাহত

দিঘলিয়া প্রতিনিধি ঃ দিঘলিয়ায় মাদকসহ নানা অপরাধীর অপতৎপরতা প্রতিরোধে দিঘলিয়া থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী দিঘলিয়া কন্টিনজেন্টের পক্ষ থেকে জোরালো অভিযান শুরু হয়েছে। এলাকার মাদক ব্যবসায়ীসহ নানা অপরাধীরা এলাকা থেকে গা ঢাকা দিতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ এ অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করছে। পুলিশ বলছে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়া জনপদের দেয়াড়া, ফরমাইশখানা, দেয়াড়া কলোনী, হাজীগ্রাম ও বাতিভিটার আতাই নদীর পাড়, মিনি স্টেডিয়ামের উপর তলায়, নানা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে, সেনহাটি ইউনিয়নের ৭ নং, ৮ নং, ৯ নং, ৪ নং ওয়ার্ড এলাকা, চন্দনীমহল কাটাবন এলাকা, পানিগাতী এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় নদীর পাড়ে বনের ভেতরে, নির্মাণাধীন ভবনে, মোড়ে মোড়ে, মুদী দোকানে ইয়াবা, গাঁজা, আইচসহ নানা মাদক অবাধে আমদানি ও কেনা বেচা চলছে দেদারছে। আইনপ্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা সক্রিয় হলে মাদকসহ নানা অপরাধীরাও এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিতে শুরু করেছে। পুলিশি তৎপরতা শিথিল হলে তারাও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এরই ধারাবাহিকতায় দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীনের নির্দেশনায় দিঘলিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই তারেকের নেতৃত্বে দিঘলিয়া থানার সকল এস আই এএস আই এবং কনস্টেবল সমন্ময়ে গত শুক্রবার থেকে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন ও দিঘলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। মাদকসহ অপরাধীরা গ্রেফতারও হয়েছে কিন্তু অপরাধীদের পক্ষে জরালো তৎপরতা ও আইনের ফাঁক ফোঁকরে জামিন না নিতে পারে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী সাধারণ মানুষের। পুলিশের অভিযানের শুরুতে ৭০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ ২ হাজার ৭ শত টাকাসহ ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলোঃ (১) দেয়াড়া গ্রামের আঃ খালেক শেখের পুত্র মোঃ আমিনুল শেখ(৩৭), (২) একই গ্রামের আঃ মান্নান হাওলাদারের পুত্র আল আমিন (২৬) ও (৩) ফরমাইশখানা গ্রামের মৃত আঃ গফুর সাহেবের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫৭)। এ অভিযান চলাকালীন দেয়াড়া কলোনী নিবাসী শেখ আবু জাফরের পুত্র জামির শেখ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নানা অপরাধীর ব্যাপারে পুলিশের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে।
উল্লেখ্য দিঘঅতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। পাশাপাশি মাদকের অবাধ আমদানি ও কেনাবেচা যুব সমাজকে দাঁড় করিয়েছে কিশোর গ্যাং হিসেবে। ঘটিয়ে তুলেছে, ছিনতাই, মারামারি, চাঁদাবাজী, মুরগী, পায়রা, সার্ভিস তার, বাড়ির টিউবওয়েলের বোডিসহ নানা জিনিসপত্র চুরি নিত্য নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন এ প্রতিবেদককে বলেন, পুলিশ জনগনের সেবক। এ কথাটি জানানোর পরও সাধারণ মানুষ সচেতন নয়। একজন অপরাধী শত শত মানুষের মাঝে থাকে। তারা গোপনে পুলিশকে তথ্য দিতে পারে, তাও দেয় না। সমাজ থেকে মাদকসহ সকল অপরাধীদের নির্মুল করতে হলে সমাজের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। নির্ভয় ও নিঃসংকোচে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অপরাধীদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে। মাদকসহ নানা অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button