স্থানীয় সংবাদ

দিঘলিয়ার বারাকপুরে আ’লীগ সমর্থকের বাড়ি ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ

দিঘলিয়া প্রতিনিধিঃ
দিঘলিয়া উপজেলার ২ নং বারাকপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শফিউদ্দিন মোল্যার সাথে আওয়ামী লীগ সমর্থক আসলাম শেখের কথা কাটাকাটি নিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা ঘটে বারাকপুর নিকেরী পাড়ায় আসলাম শেখের বাড়ির সামনে মাসুদের চায়ের দোকানে। ৪/৫ শত বিএনপি দলীয় সমর্থক আসলামের বাড়ি ঘেরাও করে ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে এবং বাড়ির গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করে। দিঘলিয়া থানা পুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী দিঘলিয়া কন্টিনজেন্ট ও কামারগাতী ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বারাকপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শফিউদ্দিনের সাথে আওয়ামী লীগ সমর্থক আসলাম শেখের বাকযুদ্ধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে গত শনিবার ( ১৪ জুন) সন্ধ্যা পৌণে ৭ টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার ২ নং বারাকপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নিকেরীপাড়া নিবাসী মোঃ মোক্তার মোল্যার পুত্র মোঃ সাফিউদ্দিন মোল্লা (৬৮) ও সাধারণ সম্পাদক আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে ৪/৫ ‘শ বিএনপি নেতাকর্মী আসলামের ওপর চড়াও হয়। এ সময় আসলাম শেখ দৌড়ে পার্শ্ববর্তী নিজস্ব ভবনে ঢুকে ক্লবসিবল গেট আটকিয়ে দেয়। দিঘলিয়া, খুলনা ও বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সমর্থক মোঃ আসলাম শেখ (৫৫) পিতা আরব আলি, সাং বারাকপুর নিকারি পাড়া মসজিদ সংলগ্ন, থানা দিঘলিয়া, এর বাড়ি আক্রমণ ও ঘেরাও করে রাখে। ঘটনাস্থলে যেয়ে প্রকাশ্য ও গোপনে জানা যায় যে, আঃলীগের সমর্থক আসলাম শেখের বাড়ির সামনে মাসুদ এর চায়ের দোকান। উক্ত দোকানে ঘটনার পূর্ব মুহূর্তে রেজাউল মোড়ল (আঃলীগ সমর্থিত) পিতা কালো মেজে, সুপার শেখ পিতা কালু মিয়া (বিএনপির সমর্থিত) ও আসলাম শেখ বসা ছিল। রেজাউল মোড়ল ও সুপার শেখ বারাকপুর বড় মসজিদ কমিটির লোক বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করার কথা তোলে। আর এ বিষয় নিয়ে দুইজনের মধ্যে উত্তেজনা ও বাকযুদ্ধ শুরু হয়। পরবর্তীতে পাশে মোটরসাইকেলে বসা বারাকপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিউদ্দিনের সাথে তর্কযুদ্ধ শুরু হলে এক পর্যায়ে সংঘাতে রূপ নেয়। আসলাম শেখ ও শফিউদ্দিনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং মারামারিতে রূপ নেয়। এ সময় বিএনপি’র লোকজন জড়োা হতে থাকলে আসলাম দৌড়ো তার তিনতলা বিল্ডিংয়ের ভেতরে ঢুকে কাচি গেট তালা মেরে দেয়। লোকজন তখন কাচি গেট ভাঙার চেষ্টা করে বাড়িতে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। এবং বাড়ির চারপাশ ঘেরাও করে রাখে।
দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে ওসি তদন্তসহ এক প্ল্যাটন ফোর্স এবং কামারগাতি ক্যাম্পের আইসি ফোর্সসহ এবং যৌথ বাহিনী টহল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে লোকজন সরে যায়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক লোক নিয়ে বিএনপি লোকদের সাথে আলাপ-আলোচনা চলতে থাকে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছিল।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button