স্থানীয় সংবাদ

খুলনা জিরোপয়েন্টে নিষিদ্ধ সংগঠন আ’লীগের মিছিলে নেতৃত্বদানকারী ইমান আলী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মহানগরীর জিরোপয়েন্টে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের মিছিলে নেতৃত্বদানকারী মোঃ ইমান আলী ওরফে রাংগা ইমানকে গ্রেফতার করেছে হরিণটানা থানা পুলিশ। গতকাল (১৬ জুন) দুপুরে সোনাডাঙ্গা থানাধীন করিমনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খাইরুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, জিরোপয়েন্টে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কোর্টের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী ইমান আলী করিমনগর এলাকার জনৈক কালামের বাড়ির ভাড়াটিয়া বলে জানা গেছে। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন কেচকিমুড়া এলাকায়। এদিকে, ইমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, র‌্যাব সদস্যদের উপর হামলা, নারী ধর্ষণ, বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঞ্চিত করা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোঃ ইমান আলী ছিলো সন্ত্রাসী হিরুর ডান হাত এবং মোড়েলগঞ্জ থানার মার্ডার মামলার আসামী। সেই মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে। সেই মামলায় জেলও খেটেছে সে। এদিকে, র‌্যাব পুলিশ যখন খোরা বস্তি এলাকায় মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান চালায় তখন র‌্যব সদস্যদের খুন করার উদ্দেশ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় সে। কিন্তু সেই র‌্যাব সদস্যরা দীর্ঘদিন ট্রিটমেন্ট করে বেচে যায় সেই কেসে ইমান এ্যারেস্ট হয়ে জেলও খেটেছে। এখনও সেই মামলা চলমান রয়েছে। ভয়ঙ্কর ইমানের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেমে নেই। একের পর এক অপকর্ম করেই যাচ্ছে সে। এখন সে পরিকল্পনা করছে সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে বিএনপির কিছু নেতা কর্মিকে কুপিয়ে জখম করে পঙ্গু করে দিবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে বাসস্ট্যান্ডে মাদকের সাম্রাজ্য চালাতো সে এবং বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে জিম্মি করে চাঁদা নিতো বলেও অভিযো রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয়, খোরা বস্তিতে যে মেয়ে বা মহিলা ইমানের চোখে পড়তো তাকে জোর করে ধর্ষণ করতো এবং পিতাকে বেঁধে রেখে পিতার সামনেই মেয়েকে ধর্ষণ করছে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ওই এলাকার বিএনপি’র নেতাকর্মীরাও ওর কাছে অনেক লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০১৩ সালে নির্বাচনের জন্য বিএনপি’র লোকজন বাসস্ট্যান্ডে প্রচার প্রচারণা করার জন্য গিয়েছিল তখন এই ইমান আলী তার বাহিনী নিয়ে পিস্তল বন্দুক চাপাতি দিয়ে দাবরিয়ে তাদেরকে মারধর করে এবং বিএনপি’র লিফলেট ও জিয়াউর রহমানের ছবি ছিড়ে ফেলে তাদেরকে বাস স্ট্যান্ড থেকে বের করে দেয়। এমনভাবে এই ইমান হুমকি দিত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কোন বিএনপির কেউ থাকতে পারবে না। এই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যদি কেউ বিএনপি করে তাকে জিন্দা কবর দেবো। তার ভয়েতে ওই অঞ্চলে বিএনপি করে এই বলার সাহস কেউ পায়নি। কিছুদিনও, আগে লবনচরা থানা এলাকায় আওয়ামলীগের একটা মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে ইমান বাহিনীদের অস্ত্র দিয়ে বলে দেয় যদি কোন বিএনপি’র লোকজন বাধা দেয় আর পুলিশও যদি বাধা দেয় তাহলে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করবা। এই ইমান এখনো বাসস্ট্যান্ডে মাদকের ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ইমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছে স্থানীয় জনগণ। এই ইমানের দুই ছেলে বড় ছেলে ইজি বাইক চালানোর নামে বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা বিক্রি করে আসছে। গতকাল জিরো পয়েন্টে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ইমানকে আটক করে হরিণটানা থানায় হস্তান্তর করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button