টানা বর্ষনে আয় করতে পারছেনা খেটে খাওয়া মানুষ

# মৌসুমী বায়ু সক্রিয় #
# তিন দিনে ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত
শেখ ফেরদৌস রহমান : চলছে আষাঢ় মাস সক্রিয় মৌসুমী বায়ু আকাশে প্রচুর মেঘ জমা হচ্ছে।গেল চার দিনে প্রায় ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে খুলনায়। যার মধ্যে সর্বেচ্চ ছিল ৬৩ মিলিমিটার গেল মঙ্গলবার। এ দিকে গেল চার দিন যাবৎ চলছে কখনও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আবার কখনও ভারী, মাঝারি বৃষ্টিপাত। এতে করে নি¤œ আয়ের মানুষের পাশাপাশি বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। হঠাৎ টানা ঘন্টাখানেক সময় ভারী বৃষ্টিপাত হলে তলিয়ে যাচ্ছে খুলনার চলাচলের সড়ক। এছাড়া ড্রেনেজসহ পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষার পানি আটকে তলিয়ে যাচ্ছে গাছপালা ক্ষতি হচ্ছে মৎস ঘের। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাযায় গতকাল খুলনায় তাপমাত্রা সর্বেচ্চ ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল শুক্রবার নাগাদ কমতে পারে বৃষ্টিপাত তবে, গুড়ি গুড়ি সহ মাঝারী বৃষ্টিপাত হতে পারে জেলার কিছু কিছু জায়গায়। তবে কয়েকদিনের টানা বর্ষনে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। এ বিষয়ে কথা হয় নগরীর খালিশপুর এলাকায় রিক্সা চালক মোঃ মজনু মিয়ার সাথে তিনি বলেন, গেল কয়েকদিন যাবৎ টানা বর্ষণে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। তারপরও বের হয়ে সড়কে যাওয়ার পর দেখি সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পানি । এছাড়া এই পানির কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা সাধারণ মানুষেরা। যাদের শুধু মাত্র অফিস আছে তারাই বের হচ্ছে। এছাড়া কেউ গুরুত্বপুর্ণ কাজ ছাড়া বাহির হচ্ছেনা। এভাবে চলতে থাকলে সংসার চালাতে সমস্যা হচ্ছে। গেল কয়েক দিন আগে ঈদ উদযাপন হলো জমানো টাকা নেই । সব মিলিয়ে একটা বিরক্তিকর মনে হয় নিজেকে। এছাড়া দেখা যায় নগরীর গোয়ালখালী বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন গোয়ালখালী এলাকায় বিশাল একটি ফলজ বাগান বর্ষার পানি না যেতে পেরে পানির নিচে শতাধিক গাছের বেশি ফলজসহ অন্যান্য গাছপালা ঘরবাড়ী। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মিন্টু বলেন, এর আগে বর্ষার পানি বিজিবি ক্যাম্প এর খালে যেত তবে, গেল তিন বছর যাবৎ পানি যাওয়ার জায়গা বন্ধ হয়ে গেছে। যেকারণে আমাদের আশেপাশের বাড়ী ঘরের পানি যেতে পারছেনা। এতে করে আমাদের ফলজ গাছ নারকেল, সুপারি সহ অন্যান্য গাছ গুলো মাসের পর মাস পানি বন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা এর আগে মেয়র সহ স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি অবগত করেছিলাম তবে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বর্ষা হলে এলাকায় হাটু জল থাকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলব যেন এই দুর্দশা থেকে আমাদের রক্ষা করে গাছপালা গুলো জীবন রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে খুলনা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আকাশে মেঘ জমেছে অনেক। আজও মাঝারীসহ ভারী গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হতে পারে। আশা করা যায় শুক্রবার নাগাদ কমবে আকাশে মেঘ কমবে সেই সাথে সূর্যের উপস্থিত দেখা যাবে।