আলেম সমাজ একই প্ল্যাটফর্মে জোটবদ্ধ থাকলে আগামীতে কেউ আলেমদের ওপর জুলুম করার দুঃসাহসিকতা দেখাতে পারবে না -অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# আড়ংঘাটা থানা উলামা মাশায়েখদের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, জামায়াত আমির ইতোপূর্বে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের একটি ব্যালট করতে যতটা ছাড় ও উদারতার প্রয়োজন হয় জামায়াতে ইসলামী তা করবে । শুধু নির্বাচনের জন্যই নয়, আগামী দিনে যাতে আলেমদের ওপর আর কেউ জুলুম করতে না পারে সেজন্য সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মহানগরী আমীর বলেন, আওয়ামী লীগ আলেম-ওলামাদের ওপর সবচেয়ে বেশি জুলুম করেছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের জুলুমের শিকার হয়েছে। তবে আলেমদের ওপর বেশি জুলুম হয়েছে। আলেম সমাজ একই প্ল্যাটফর্মে জোটবদ্ধ থাকলে আগামীতে কেউ আলেমদের ওপর জুলুম করার দুঃসাহসিকতা দেখাতে পারবে না। আলেমদের মাইনাস করে আধিপাত্যবাদ, ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন কেউ দেখতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা থানার উদ্যোগে উলামা মশায়েখদের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
আড়ংঘাটা থানা আমীর মাওলানা মনোয়ার হোসেন আনসারীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মাহদী হাসানের পরিচালনায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খুলনা মহানগরী উলমা বিভাগের সেক্রেটারি হযরত মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকি, খুলনা মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যপক ইকবাল হোসেন, যুব বিভাগের সেক্রেটারি মোকাররাম বিল্লাহ আনসারী। অন্যান্যের মধ্যে হযরত মাওলানা হাবিবুর রহমান, হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল্লাহ, মাওলানা হাসিবুল্লাহ মিসবাহ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর হোসেনম মাওলানা কবীর হোসাইন, হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা হাসিবুর রহমান, মাওলানা মুহা. মহিববুল্লাহ, মাওলানা যোবায়ের আহমাদসহ প্রমুখ উলামায়েকেরাম উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার সব আন্দোলন-সংগ্রামে আলেমদের অবদান ও ত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে উল্লেখ করে মহানগরী আমীর বলেন, ৫ আগস্টও হাসিনা পালিয়ে যাবে, এটা কেউ ভাবেনি। কিন্তু জীবনের মায়া ত্যাগ করে আলেমরাই ছাত্রদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আলেমরাই রাজপথে ছিল। বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। নতুন বাংলাদেশের নেতৃত্ব ইসলামপন্থিদের দিতে হলে অবশ্যই ঐক্যের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি সব দল ও মতের নেতৃত্বকে একই প্ল্যাটফর্মে জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আরো বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন চালানো হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ওপর। ১১ জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জুলুম করে বিচারিক হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। এসব কিছুর মাস্টারমাইন্ড, হত্যা বাস্তবায়নকারী, যারা মিথ্যা সাক্ষ্য ও রায় দিয়েছে, তাদের কেউ যেন রেহাই না পায়।’
শাপলা চত্বরের প্রসঙ্গ টেনে ধর্মীয় এই সংগঠনের নেতা বলেন, ‘২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে আলেম-ওলামাদের রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের লাশটাও পাওয়া যায়নি। আমরা এসব হত্যাকান্ডের বিচার চাই।’ আগামীতে দেশ গঠনে আপামর জনতার সহযোগিতা চেয়ে তিনি নেতা-কর্মী ও দেশবাসীকে প্রত্যেক শহীদ এবং আহত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।