স্থানীয় সংবাদ

ছাত্র জীবন শেষ করে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করে শপথের কর্মী হিসাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দ্বীন কায়েমে অগ্রণী ভুমিকা করতে হবে : মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক

# খুলনা মহানগরীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য সাথী (নন রুকন) সমাবেশ #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেছেন, প্রাক্তন এই জনশক্তি ও আজকের এই মিলনমেলা খুলনা মহানগরীর ইসলামী আন্দোলন আরও গতিশীল করবে। আমাদের এভাবে পরিকল্পনা ভিত্তিক কাজ ইসলামী আন্দোলনের জন্য মহানগরীর মাটি উর্র্বর করবে। আজকের এই প্রোগ্রাম জনশক্তিকে ময়দানে আরও উজ্জীবিত করবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, মহানগরীর দায়িত্বশীলদের পরিকল্পনা ভিত্তিক কাজ করতে হবে। সেবা ও সমাজ সংস্কারমূলক কাজগুলো করে আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। নিজেদের পরিশুদ্ধ করতে হবে। তবেই আমরা মহানগরীকে পরিবর্তন করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর যতবেশি জুলুম নির্যাতন হয়েছে-তারা আদর্শ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের নৈতিকতার মূল উৎস কুরআন এবং হাদিস। মূল আদর্শ হযরত মুহাম্মদ (সা.)। ইসলামী ছাত্রশিবিরের আচরণ হবে মার্জিত সর্বোন্নত। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। তিনি আরো বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির আল্লাহকে ছাড়া পৃথিবীর কোনো শক্তিকে ভয় পায় না। ছাত্রশিবির তার আদর্শ ও সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত মঞ্জিলে। এবং তারা ছাত্র জীবন শেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করে সর্বোচ্চ শপথের কর্মী হিসাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলন কায়েমে অগ্রণী ভুমিকা করতে হবে। রোববার (২২ জুন) সকালে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নগরীর আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য সাথী (নন রুকন) সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে খুলনা মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজৗ, অফিস সেক্রেটারি মীম মিরাজ হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা আলমগীর, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহীদুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতপুর থানা আমীর মাওলানা মুশাররফ আনসারী, আড়ংঘাটা থানা আমীর মাওলানা নিয়াজ আনসারী, লবণচরা থানা আমীর মো. মোজাফ্ফর হোসেন, হরিণটানা থানা আমীর মাওলানা আব্দুল গফুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ছাত্রশিবিরের সদস্য সাথী (নন-রুকন) সমাবেশ বলতে ছাত্রশিবিরের সেই সকল সদস্য ও সাথীদের সমাবেশকে বোঝায় যারা সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী ‘সদস্য’ বা ‘রুকন’ নন। তবে জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। এই ধরনের সমাবেশ সাধারণত সদস্য ও সাথীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, সাংগঠনিক আলোচনা ও দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য আয়োজিত হয়। তিনি বলেন, সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে হলে নিজেকে ইমানের সাথে চলতে হবে। সাংগঠনিক মান বৃদ্ধি করতে হবে। নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে আল্লাহর নামে। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। সেই বিশ্বাস মনে প্রাণে বিশ^াস রেখে সবাইকে কাজ করতে হবে। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে। আমরা চাইনা দেশে আর কোন অন্যায় অবিচার হোক। আমরা চাই সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সোনার বাংলাদেশ গড়তে। এ জন্য সবাইকে সোনার মানুষ তৈরী করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button