স্থানীয় সংবাদ

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গড়ে ওঠা নতুন বাংলাদেশে জনগণের আস্থা ও পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে সর্বদা নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখবে

# ৫৮তম টিআরসি ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে অ্যাডিশনাল আইজি মোসলেহ উদ্দিন আহমদ #

খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি ঃ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স অ্যাডিশনাল আইজি (লজিস্টিকস্ অ্যান্ড অ্যাসেট অ্যাকুইজিশন) মোসলেহ উদ্দিন আহমদ বিপিএম-সেবা, বলেছেন“ জুলাই ২৪, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গড়ে ওঠা নতুন বাংলাদেশে জনগণের আস্থা ও পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে সর্বদা নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখবে। জন আকাঙ্ক্ষার প্রতি সর্বদা সম্মান প্রদর্শন করবে সর্বোপরি দেশ ও জনগণের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে সর্বদা প্রচেষ্টা থাকবে। এই বাহিনীর সদস্যরা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে এখন আন্তর্জাতিক মহলে ও দক্ষতার সাথে সুনাম অর্জন করছে। তিঁনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ পুলিশ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বদাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। আধুনিক সমাজে পুলিশের ভূমিকা ব্যাপক আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা, দুষ্টের দমন এবং সৃষ্টির পালনই পুলিশের মূল লক্ষ্য। জনগণের জীবন ও সম্পত্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা অপরিহার্য।
তিনি রবিবার সকালে খুলনার মীরেরডাঙ্গা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের ৫৮তম ট্রেইনি রিক্রট কনস্টেবল(টিআরসি) ব্যাচের বর্ণাঢ্য ও মনোজ্ঞ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। প্রধান অতিথি পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, শ্রেণীভেদে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ও কর্মজীবনে আইনি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে এবং সুখী ও সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবলদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। তিঁনি প্রশক্ষিণার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, দেশ ও জনগণের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রাখতে প্রশিক্ষণার্থীদের সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দক্ষ পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশে লব্দ জ্ঞান, নিষ্ঠা ও সততার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় এই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে নিজের জীবন উৎসর্গ করবে। এসময় মঞ্চে তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ডিআইজি আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী পিপিএম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি টিআরসিদের ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষনে সর্ববিষয়ে বেস্ট টিআরসি নির্বাচিত শেখ সোহেল রানা, একাডেমিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠ টিআরসি মোঃ তামীম হুসাইন, মাঠ বিষয়ে শ্রেষ্ঠ টিআরসি মোঃ কাওছার হাবিব শেখ এবং মাসকেট্রিতে শ্রেষ্ঠ টিআরসি নির্বাচিত মোঃ সোহান হাতে সম্মাননা ট্রফি তুলে দেন । সমাপনী কুচকাওয়াজে ৬টি কোম্পানীর মোট ৮১৭ জন টিআরসি শিক্ষানবিশ পুলিশ সদস্য মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহন করেন। সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ ইনেন্সপেক্টর রমেশ চন্দ্র বিশ^াস। এর আগে সকাল সাড়ে ৮ টায় প্রধান অতিথি খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে পৌছালে পিটিসি’র কমান্ড্যান্ট ডিআইজি আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী পিপিএম তাঁকে অভ্যার্থনা জানান।
সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে কেএমপি, পুলিশ কমিশনার মো: জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি, মো: রেজাউল হক পিপিএম এবং কর্ণেল এ কে এম রাশেদুজ্জামান, কর্ণেল জিএস, খুলনা শাখা, ডিজিএফআই, খালিশপুর, খুলনা। এছাড়াও আরোও উপস্থিত ছিলেন সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর সম্মানিত ঊর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ, প্রশিক্ষণার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে প্রধান অতিথি সিআরসিদের মনোমুগ্ধকর, আকর্ষণীয় ও দৃস্টি নন্দন আন-আর্মড কমব্যাডসহ বিভিন্ন শরিরিক কসরত উপভোগ করেন। পরে তিঁনি পিটিসি ঘুরে দেখেন এবং একটি বৃক্ষরোপন করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button