খুলনাসহ ৮ জেলার ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ১৪ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭ হাজার জরিমানা

# নিয়মবর্হিভূত বেচাকেনা করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের হুশিয়ারী #
# জনস্বার্থে অভিযান অব্যহত রাখার আশ^াস সংশ্লিস্টদের #
স্টাফ রিপোর্টার : খুলনার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রন রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় ও খুলনা বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন জেলা কার্যালয় সমূহ নিয়মিত বাজার তদারকিসহ অভিযান অব্যহত রয়েছে। ওই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৩ জুন) ভোক্তা অধিকারের ৮ টিম তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। এসময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসমূহের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয় এবং সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়। তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেওয়া হয়। অভিযান চলাকালে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বাজার তদারকি পাশাপাশি ও জরিমানা করা হয়। খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার বিআইডিসি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাদ ডায়গনষ্টিক সেন্টারকে যথাযথ সেবা সরবরাহ না করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সজল আহম্মেদের নেতৃত্বে সদর উপজেলার পুরাতন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স রায়হান খাদ্য ভান্ডারকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১ হাজার টাকা এবং একই অপরাধে মেসার্স মা কালী ভান্ডারকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুম আলীর নেতৃত্বে মিরপুর উপজেলার খাদিমপুর কাচারি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স সাহাবুল ট্রেডার্সকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করা ও খাদ্য দ্রব্যে নিষিদ্ধ পণ্যের মিশ্রণ কারার অপরাধে ১৬ হাজার টাকা এবং মা ফার্মেসিকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার মুজিব সড়ক বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আড্ডা খানাকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্যে উৎপাদন করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। নড়াইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হাসানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার গাবতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে মেসার্স চাদনী এন্টার প্রাইজকে ২ হাজার ও মেসার্স খান স্টোরকে ১ হাজার টাকা এবং মেসার্স মেডিসিন কর্নারকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানার নেতৃত্বে কচুয়া উপজেলার কচুয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেভেন স্টার রেস্টুরেন্টেকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্যে উৎপাদন করার অপরাধে ৪ হাজার এবং কাজী মিষ্টান্ন ভা-ারকে পরিমাপে কারচুপি করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহেরের নেতৃত্বে সদর উপজেলার অগ্নীবীনা সড়ক বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাজী বিরিয়ানিকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্যে উৎপাদন করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান তানভীরের নেতৃত্বে কলারোয়া উপজেলার উপজেলা মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন করার অপরাধে রাজু হোটেলকে ৪ হাজার টাকা এবং দুলালের মিষ্টিকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্টরা। অভিযানে ১৪ টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মাদ সেলিম জানান, খুলনার বাজারে আমাদের নিয়মিত তদারকিসহ অভিযান অব্যহত আছে। ভোক্তার অধিকার লঙ্ঘিত করলে ওই ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসাবে জরিমানা আরোপসহ আদায় করা হচ্ছে। খুলনার বাজার সমূহে কোনো ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান সরকার প্রদত্ত নিয়মনীতির বাইরে ব্যবসা পরিচালনা করলে তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। জনস্বার্থে আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।