বৈষম্যহীন একটি সুখি-সমৃদ্ধ, আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে দলমত, ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল

২৯ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর ঈদপুণমিলনী ও গুনীজন সংবর্ধণা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর উদারতাকে দুর্বলতা ভাবার সুযোগ নেই, প্রতিটি জুলুম, নির্যাতন, খুন, গুমের জবাব দেওয়ার মত সক্ষমতা জামায়াতে ইসলামীর ছিল এবং আছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইন নিজ হাতে তুলে নেয়নি। জামায়াতে ইসলামী জনগণের অধিকার হরণ করেনি উল্লেখ করে এডভোকেট হেলাল আরও বলেন, কেউ কেউ ক্ষমতার জন্য জনগণের অধিকার হরণ করতে দেখা যায়। নাগরিক যাতে সেবা নিতে না পারে সে জন্য রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় তালা মেরে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করতেও তারা দ্বিধাবোধ করেনি। এ সব কর্মকান্ডে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নিরবতায় জাতি ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী সকল নাগরিকের কল্যাণে ও প্রয়োজনে সমান দায়িত্ব পালন করছে। দেশবাসী আগামীতে জামায়াতে ইসলামীকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিলে দলমত, ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অংশ গ্রহণে একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র জাতিকে উপহার দেওয়া হবে। তিনি বৈষম্যহীন একটি সুখি-সমৃদ্ধ, আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। শুক্রবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন ২৯ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে স্থানীয় কাজী কমিউনিটি সেন্টারে ঈদ পূর্ণমিলনী ও গুনীজন সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
২৯ নং ওয়ার্ড় আমীর আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শহিদুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও তারবিয়াত সেক্রেটারি মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, মহানগরীর সমাজ কল্যাণ বিভাগের সেক্রেটারি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে থানা সহকারী সেক্রটারি আলমগীর বিশ্বাস, বায়তুল সেক্রেটারি মোয়াজ্জেম হোসেন, তারবিয়াত সেক্রেটারি মাওলানা মোয়াজজম বিল্লাহ, ওয়ার্ড অর্থবিভাগের সেক্রেটারি মো. জোবায়ের শেখ জুয়েল, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান ডালিম, মোখলেছুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, মাওলানা সফিউল আজম, মাওলানা রুহুল আমিন, জাহিদুল ইসলাম, মাহিনুর, কামাল হোসেন, আব্দুস সালাম, মাহমুদ হাসান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এডভোকেট হেলাল আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করছে। দেশবাসীর যেকোন প্রয়োজনে দুর্যোগ, দুর্দিনে জামায়াতে ইসলামী সবার আগে, সবখানে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। দলমত, ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে জামায়াতে ইসলামী সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে রাষ্ট্রের কাছে প্রতিটি নাগরিক সমান।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশে গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকারের হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেয়া। ক্ষমতা বুঝিয়ে দেয়ার আগে অবশ্যই নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে এবং নির্বাচন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে সংস্কার আবশ্যক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা, জনপ্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা সংস্কারও প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, বিগত ১৭ বছরে গুম, খুন বিশেষ করে ৫ আগস্টে যারা গণহত্যায় জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ৫ আগস্টে আহত,পঙ্গুত্ববরণকারী, শহীদ পরিবার, ছাত্র-জনতা, আপামর জনসাধারণ এবং ১৮ কোটি মানুষের শর্ত হচ্ছে সংস্কার ও বিচার। তিনি আরো বলেন, বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত, বাংলাদেশকে টেনে তুলতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রতিবাদ ও রাজপথে ভূমিকাসহ অন্তবতীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে। আগামী দিনগুলিতেও পাশে থেকে সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ।