স্থানীয় সংবাদ

সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের ১নং ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ

# ব্যবহার অযোগ্য ভবনের ছাদের প্লাস্টার ধ্বসে পড়ছে #
# বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা #

স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের ১নং ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। ব্যবহার অযোগ্য এ ভবনটির ছাদের প্লাস্টার খুলে পড়ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই থাকছে বাস মালিক ও কর্মচারিরা। এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারের দাবিতে পরিবহন মালিক সমিতি কেডিএ’র চেয়ারম্যানের নিকট লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সম্প্রতি দাখিলকৃত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সোনাডাঙ্গা বাসটার্মিনালের ১নং ভবনের সকল পরিবহন কাউন্টারের প্রতিনিধিগণ দীর্ঘদিন যাবৎ এই ভবনে ঘর বরাদ্ধ নিয়ে বাণিজ্য করে আসছি। বর্তমানে বিল্ডিংটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতি নিয়ত কোন না কোন জায়গা থেকে ধ্বসে পড়ছে। বৃষ্টি হলে সেই পানি চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে। এতে ঘরের ফ্যান, লাইটসহ ইলেকট্রিক পণ্য পানিতে নস্ট হচ্ছে। যে কোন মূহুর্তে ভবনটি ধ্বসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা আশংকা করছেন। তারা এ ভবনটি যত দ্রুত সম্ভব মেরামত করার দাবি করেছেন। ওই আবেদনে ঈগল, হানিফসহ ১৭টি পরিবহনের ম্যানেজার স্বাক্ষর করেছেন। ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার দারা বলেন, দূরপাল্লার পরিবহন কাউন্টারের জন্য ১৯৯৬ সালে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের ১নং ভনটি নির্মাণ করা হয়। ভবনটির বয়স প্রায় ৪০ বছর হতে চললেও তা মেরামত করেনি। এতে করে ভবনটি ধীরে ধীরে নস্ট হতে থাকে। এখন এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে ভবনটি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তার দু’টি কাউন্টারের ছাদ থেকে প্লাস্টার ধ্বসে ধ্বসে পড়ছে। একটি কাউন্টার এতই খারাপ তা ব্যবহারের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। ওই কাউন্টারের ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ার পর এখন বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ছে। এতে করে ওই কাউন্টারটা ব্যবহার করতে পারছি না। অন্যটা ব্যবহার করলেও মাথার ওপর কখন ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ে সেই আতংকে থাকি। আঃ বারেক নামের আরেক কাউন্টারম্যান বলেন, ১৯৯৬ সালে এ ভবন করার পর আর কখনও সংস্কার করা হয়নি। এ ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ২০২০/২১ সালে ভবনটি ঝুকিপূর্ন বলে কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। কিন্তু আর হয়নি। এমন কি ভবনে এ দুরাবস্থা দেখে যাত্রী সাধারণ কাউন্টারে প্রবেশে ভয় পায়। এখানে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি আশংকা করছেন। অবিলম্বে এ ভবনটি সংস্কারের জোর দাবি জানান তিনি। কেডিএ’র সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আঃ সাত্তার বলেন, এ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তা ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে ভবন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। তবে পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button