রূপসায় পুলিশি হস্তক্ষেপে অবৈধ জমি দখল কার্যক্রম বন্ধসহ বন্ধ হল দু’পক্ষের সংঘর্ষ

রূপসা প্রতিনিধি : অবশেষে পুলিশি হস্তক্ষেপে বন্ধ হল রূপসা উপজেলার রামনগর গ্রামে অবৈধ জমি দখল কার্যক্রম। গত কয়েকদিন ধরে ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুজিবর রহমানের ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বিক্রেতার সন্তানেরা। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্য তুমুল উত্তেজনা সৃষ্ট হয়। আপাতত স্থগিত হয় সংঘর্ষ সহ অন্যায় ভাবে জমি দখলের কার্যক্রম। স্থানীয়ভাবে যা জানা যায়, এ ব্যাপারে ২ জুলাই তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। আজ ৩ জুলাই বিকেলে আদালতের মামলার সূত্র ধরে পুলিশ এসে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
উপজেলার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ভুক্তভোগী মোঃ মুজিবর রহমান প্রায় ৩০ বছর পূর্বে একই গ্রামের করিম শেখ ও তার বোনের নিকট থেকে রামনগর মৌজায় ৫৬.৭৮ শতক জমি কবলামূলে ক্রয়পূর্বক ভোগদখল করে আসছেন। এমনকি নিজ নামে জমির মিউটেশনসহ কাগজপত্র করে কর-খাজনা পরিশোধ করেন। এদিকে জমি বিক্রেতা করিম শেখ এর মৃত্যুর কয়েক বছর পর থেকে তার ছেলে লুৎফর রহমান ও তার সন্তানেরা ওই জমি জবর দখলের চেষ্টা চালাতে থাকে। ক্রয়সূত্রে ভোগদখলীয় জমির মালিক মুজিবর রহমান তাদের বাধা দিতে গেলে তাকে নানা প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। এনিয়ে ২০১৬ সালে জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগি মুজিবর রহমান রূপসা থানায় জিডি করেন। এরপর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে লুৎফর গং ওই জমি আবারো দখলে মরিয়া হয়ে ওঠে। সেখানে নির্মাণ করতে থাকে বসতঘর। এমতাবস্থায় ২ জুলাই ভুক্তভোগী মুজিবর রহমান বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খুলনায় ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক কিসমত খুলনা ফাঁড়ি পুলিশ পুলিশ ৩ জুলাই বিকেলে নোটিশ জারি সহ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।কিন্তু নোটিশ দেওয়ার পর নোটিশ প্রাপ্তির স্বাক্ষর নিয়ে ফাঁড়ি ইনচার্জ চলে যাওয়ার পরপরই অভিযুক্ত লুৎফর রহমান পুনরায় দখলকাজ চালিয়ে যায়। আইন ও আদালতের আদেশ উপেক্ষা করার সংবাদ রূপসা থানা ইনচার্জের কাছে পৌঁছালে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করে কাজটি বন্ধ করে দেন।