রূপসায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ নেওয়ার অভিযোগ

# জানমালের নিরাপত্তায় থানায় লিখিত অভিযোগ
#পাওনা টাকা পরিশোধ না করায়
রূপসা প্রতিনিধি / স্টাফ রিপোর্টার : রূপসায় ফারুক ব্রীকসের প্রোপাইটার গোলাম সরোয়ার হাওলাদার এর পাওনাদারেরা বাড়ির গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে প্রায় ৫০ লাখ টাকার দামি মালামাল জোরপূর্বক ভাবে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বুধবার (২ জুলাই) গোলাম সরোয়ারের বোন খাদিজা পারভীন রূপসা থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর (ক্লাবের মোড়) এলাকার মুমিন শেখের ছেলে ফকরুল ইসলাম, ফারুক ও খোকা শেখের ছেলে আব্বাস সহ অজ্ঞাতরা একত্রিত হয়ে ফারুক ব্রীকসের প্রোপাইটার গোলাম সরোয়ার হাওলাদারের পাওনাদারেরা তাদের টাকা পরিশোধ না করার কারনে তার বড় ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রসুল হাওলাদারের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছে। এমনকি (১ জুলাই) পাওনাদারেরা গোলাম রসুল হাওলাদারকে সরাসরি মোবাইল ফোনে মারপিট করার হুমকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে তারা। এমনকি তার বাড়িতে হামলা করা হবে বলে একইভাবে আবারও হুমকি দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে পরেরদিন (২ জুলাই) আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে গোলাম রসুলের নৈহাটীর কিসমত খুলনা এলাকার নিজ বাড়ির গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে চারটি ট্রলি, তিনটি পিকাপ এবং গাড়ির গ্যারেজ থেকে দামি মেশিনারি সহ বিভিন্ন মালামাল তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়। যা সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে প্রমান রয়েছে। ওই পরিবারের সকলের এজমাইল সম্পত্তির উপর গাছপালা নষ্ট করা হয় এবং গাছ কর্তন করে নিয়ে যায়। এমনকি পাওনাদারেরা ওই সম্পত্তি দখল অব্যহত রাখে। এর আগেও স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশকে অবগত করা হয়। বিষয়টি প্রতিকারের দাবিতে উর্ধতন পুলিশ প্রশাসনের নিকট জানমালের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এব্যাপারে পাওনাদার আব্বাস সহ তার সাথে থাকা আরও কয়েকজন বলেন, সরোয়ার এর কাছে আমরা টাকা পাবো। সে আমাদের টাকা না দিয়ে পালিয়ে গেছে। যার কারনে আমরা ওদের বাড়িতে গিয়ে গাড়ি নিতে বাধ্য হয়েছি। সরোয়ার আমাদের টাকা দিলে গাড়ি ফেরত দিয়ে দেবো।
ভুক্তভোগী রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল হাওলাদার বলেন, সরোয়ার আমার ভাই ঠিক আছে। কিন্তু সরোয়ারের ভাটার ব্যবসার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার মতো আমি ঘেরের ব্যবসা করি। আমার বাড়ির গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে চারটা ট্রলি, তিনটি পিকাপ এবং গাড়ির গ্যারেজ থেকে মেশিনারি বিভিন্ন দামি মালামাল পাওনাদারেরা তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মুল্যে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে পাওনাদার যারা তারাও উপজেলায় মানববন্ধন করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।