স্থানীয় সংবাদ

দিঘলিয়ায় ভৈরব-আতাই নদীর মোহনা থেকে মজুদখালী-ভৈরব নদের মোহনা পর্যন্ত ভৈরব নদের জলপথ জলদস্যুদের দখলে

সৈয়দ জাহিদুজ্জামান (দিঘলিয়া) প্রতিনিধি :
দিঘলিয়ার আতাই-ভৈরব নদের চন্দনীমহল কাটাবন সংলগ্ন মোড় থেকে মজুদখালী-ভৈরব নদের মোড় পর্যন্ত ভৈরব নদে জলপথ জলদস্যুদের দকলে। এ নদীপথের কিস্তৃতি নোয়াপাড়া পর্যন্ত। পাঁচ গ্রুপে গোটা নদীপথ জিম্মী করে ফেলেছে এ নদীপথ। কখনো সশস্ত্র, কখনো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় নদী পথে পরিচালিত ছোট বড় পরিবহনগুলোতে ও নদীর তীরে গড়ে ওঠা সরকারি মিল, কলকারখানা, ফ্যাক্টরী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জ্বালানী তেলের ডিপোগুলো, হাট-বাজার প্রভৃতি।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়ার চন্দনীমহল কাটাবন এলাকার আতাই-ভৈরব নদের মোহনা থেকে মজুদখালী-ভৈরব নদের মোহনা পর্যন্ত কখনো কখনো নোয়াপাড়া পর্যন্ত নদীপথটি বিভিন্ন এলাকাভেদে ৫ টি জলদস্যুদের অপতৎপরতার কাছে জিম্মী। চট্টগ্রাম থেকে আসা জ্বালানি তেলের ট্যাংকার, খুলনা বড় বাজার থেকে মালামাল নিয়ে আসা ট্রলার বা নৌকা, মোংলা থেকে মানিকতলা সিএসডিতে আসা এবং মানিকতলা থেকে মালামাল নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে পরিবহণকালে এবং মোংলা থেকে নোয়াপাড়া আসা ট্রলার বা বাল্কহেড কয়লা, সার, লবন, চিনি প্রভৃতি জিনিসপত্র পরিবহণ করার সময় এ সকল জলদস্যুরা চড়াও হয়। দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল কাটাবন ও রূপসার শোলপুরে দুই পারে ২ টা গ্রুপ, সেনহাটি এলাকায় একটা গ্রুপ, দিঘলিয়া ইউনিয়নে একটা গ্রুপ, বারাকপুর ইউনিয়নে একটা গ্রুপ। গত ১৬ মে মোংলা থেকে কয়লা লোড নিয়ে একটি ট্রলার মোংলা থেকে ছেড়ে এসে দিঘলিয়ার কাটাবন এলাকায় আসলে ট্রলারটি জলদস্যুদের হাতে কর্মচারীরা অপহরণ হয়। কয়লা ভর্তি ট্রলার ছিনতাই করে বড়দিয়া বাজার এলাকায় আনলোড করা কালে খুলনা নৌপুলিশ কয়লা এবং কয়লা ভর্তি ট্রলার উদ্ধার করে। এ ঘটনার কিছুদিন আগে সরকারি সার ছিনতাই কালে পুলিশ ধাওয়া কালে কিছু সার মজুদখালি নদীর পাড়ে ফেলে দিয়ে সার ভর্তি ট্রলার
ছিনিয়ে নিয়ে অবাধে পালিয়ে যায়। পুলিশ পিছু নিয়েও তাদের উধাও হয়। গত দুই বছর আগে ক্যাবল ফ্যাক্টরীর ক্যাবল তার চুরি করা কালে বার্ম্মাশেল খেয়াঘাটের আশপাশ হতে নদীর পানির ভেতরে ডুবন্তাবস্থায় চোরাই ক্যাবল তার উদ্ধার করা হয়। এমনি ঘটনা ঘটে চলেছে ভৈরব নদের তীরের বিভিন্ন এলাকায়। উল্লেখিত নৌরুটটি মোংলা থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত। ভৈরব নদের ও আতাই নদীর ভাটির মোহনা থেকে ভৈরব-মজুদখালি উজান মোহনা পর্যন্ত দিঘলিয়া অংশে ব্যবসায়ীর মালামাল পরিবহণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সরকারি গুদামে আমদানি করা খাদ্য সামগ্রীসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পরিবহণ, নির্মাণ সামগ্রী পরিবহণ, খাদ্যশস্য পরিবহণ, জ্বালানী তেল পরিবহণ কোনো কিছু আজ নিরাপদ নয়। এমন কি খুলনা শহরের খালিশপুরে অবস্থিত বন্দ কলকারখানাও আজ নিরাপদ নয়। তেভাগা চুক্তিতে নদী পথে বন্ধ রাষ্টায়ত্ব মিলগুলো রাতের আঁধারে উজাড় হচ্ছে। ভৈরব নদের নদী পথটি বর্তমানে জলদস্যুদের দখলে এমনটাই জানিয়েছে এলাকার বিজ্ঞমহল।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button