স্থানীয় সংবাদ

খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে কিডনি বিভাগে যোগ হচ্ছে আরও অর্ধশতাধিক শয্যা

শেখ ফেরদৌস রহমান : খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে কিডনি বিভাগে আবারও যোগ হতে যাচ্ছে প্রায় অর্ধশতাধিক শয্যা। সচেতনতার অভাবে দিন দিন বাড়ছে কিডনি রোগের প্রকোপ। প্রতি বছর এই রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। একদিকে এই রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয় প্রচুর অর্থ । এতে করে বেসরকারী স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে এই কিডনি রোগের চিকিৎসা মেটাতে যেয়ে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। এতে করে সরকারী হাসপাতালে পড়ছে রোগীর চাপ। এর আগে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে কিডনি বিভাগে মোট ২৪ টি শয্যা ছিল। বর্তমান হাসপাতালটির পরিচালক যোগদানের পর ৫ম তলায় কেবিনের মাধ্যমে আরও ৬টি শয্যা বৃদ্ধি করলেও হাসপাতালটিতে কিডনি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর। যেকারণে হাসপাতালে ৩য় তলায় কিডনি রোগীদের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করণের নতুন নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করে গেল বছর দুই বছর আগে। বর্তমানে ফ্লোর এর কাজ শেষ হয়েছে জানালার কাজ চলছে তবে মাস খানেক সময়ের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কাছে নির্মাণ কাজের হ্যান্ডওভার করা যাবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির হাসপাতালটিতে দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত কর্মচারী মাসুদ হোসেন।এ বিষয়ে হাসপাতালটির পরিচালক ডাঃ শেখ আবু শাহীন বলেন,
কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় অক্রান্ত হওয়া এমন একটি লড়াই।যা পরিবারের জন্য আর্থিক ও মানুষিক ভাবে বিধ্ধস্ত একটি লড়াই। অনেক সময়ে রোগীদের চিকিৎসা ব্যায় বহন করতে হিমশিম পোহাতে হয়।এর মুল কারণ সরকারী হাসপাতারে ভর্তি বা চিকিৎসা বহনের সুযোগ চাহিদার তুলনায় কম। আমাদের এই হাসপাতালে কিডনি রোগীদের জন্য ডায়ালোসিস খরচ ৬ মাসে মাত্র ২০ হাজার টাকা।প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন সপ্তাহে দুদিন ডায়ালোসিস নিচ্ছে।পাশাপাশি বিনা মূল্যে ওষুধ সরবারাহ করা হয়। তারপরও অধিকাংশ রোগীদের শেষ প্রর্যন্ত সম্ভবন হয়না জীবন বাচাতে।অথচ বেসরকারী হাপাতালে সপ্তাহে দুদিন আর মাসে ৮দিন ডায়ালোসিস খরচ ৮ হাজার টাকা।আর মাসিক খরচ প্রায় ৩২ হাজার টাকার বেশি।যে কারণে আমরা হাসপাতালটিতে আরও শয্যা বাড়িয়ে গরীব রোগীদের নাম মাত্র খরচে যেন সেবা দিতে পারি।ইতো মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন ইঞ্জিনিয়ার সব দেখে আমাদের কাছে হ্যান্ড ওভার করবে।এর পর আমরা জয়াগ অনুযায়ী বলতে পারবো কত গুলো শয্যা বসানো যাবে।দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যক্রম শুরু হবে বলে সমনে করছি। এদিকে খুলনা কিডনি বিশেষজ্ঞ একাধিক চিকিৎসকরা বলছেন অতিমাত্রায় এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সহ বিভিন্নওষুধ সেবনকিডনি রোগের অন্যতম কারণ । ক্রনিক নেফ্র্রিটিসে ডায়াবেটিসের উচ্চ রক্তচাপের কারণে ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন প্রকার ওষুধ সেবন। পাশাপাশি উচ্চ মাত্রার এন্টি বায়োটিক ওষুধ শরীরে কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করে।পাশাপাশি প্রসাব আটকে রাখা সহ সময়মতো দ্রুত পানিস্বল্পতা ও রক্তক্ষরণের চিকিৎসা না নেওয়া বিকল কিডনির মূল কারণগুলোর অন্যতম।তবে এক্ষত্রে কিডনি রোগীদের যদি একই কিডনি ট্রানাস্ফার করা যায় তাহলে রোগীকে দীর্ঘ দিন বাচানো সম্ভব।পাশাপশি রোগীদের ডায়ালোসিস দিলে অত্যন্ত আট থেকে দশ বছর বাচানো যায়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button