বৃষ্টি বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা : নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে ভবদহ পাড়ের মানুষ

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি ঃ যশোরের অভয়নগর উপজেলায় গত কয়েকদিন ধরে রেকর্ড পরিমান বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে সোমবারের টানা বৃষ্টিপাত। সোমবার দুপুর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়, যা থামে বেলা ১১ টায়। মেঘলা আকাশ হঠাৎ ই পরিষ্কার হয়ে উঁকি দেয় ঝলমলে রোদ। তবে দুপুরের পর থেকে আবার শুরু প্রবল বৃষ্টিপাত। এতে জনজীবন থমকে দাঁড়িয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বন্দর এলাকার লোড আনলোড কার্যক্রম। প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে পারেনি অনেকে। আবার কেউ কেউ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রওনা দিয়েছেন গন্তব্যে। সোমবার বিকালে নওয়াপাড়া স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে বেশিরভাগ দোকানের সামনে কোনমতে আশ্রয় নিয়েছে পথচারীরা। বৃষ্টি না থামায় ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকতে দেখা গেছে তাদেরকে। খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী সবুজ হালদার বলেন, মশিয়াহাটি যাওয়ার জন্য এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছি, বৃষ্টি থামার নাম নেই। এদিকে রেকর্ড পরিমান বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভবদহপাড়ের মানুষের কপালে দেখা দিয়েছে চিন্তার ভাঁজ। গত বছরের ন্যয় এবারও জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে ভবদহ পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। ঘের ব্যবসায়ী কামরুল হাসান জানান, আমাদের কোটার বিলে কয়েক’শ বিঘা ঘের রয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। আবারও ভবদহ এলাকা ভয়াবহ জলাবদ্ধতার দিকে যাচ্ছে। যদি এবারও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় তবে মৎস্য ব্যবসায়ীরা পথে বসবে। এদিকে সুন্দলী এলাকার বাসিন্দা লিয়াকত আলী জানান, এবারও মাছের ঘের ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগেভাগে নেট কিনে রেখেছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বৃষ্টি বাড়ার সাথে সাথে নেটের দাম ও বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।নওয়াপাড়া বাজারের রহিম নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর বৃষ্টির পরিমান অনেকবেশি। বাজারে তেমন লোকজন নেই। ব্যবসা বানিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ভবদহের জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জিকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।