স্থানীয় সংবাদ

শরণখোলায় সাংবাদিক, শিক্ষক এবং সংগীত পরিবারের ছাদ বাগানে রাতের রানী নাইট কুইনের দেখা

আবু-হানিফ, শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ঃ দীর্ঘ সাত বছর ধরে অতিযতেœ পরিচর্যা করার পরে ৯ জুলাই বুধবার রাত ১২ টার পরে রাতের রানী নাইট কুইনের দেখা পেলো সাংবাদিক,শিক্ষক এবং সংগীত পরিবারের সদস্যরা। ছাদ বাগানে একই রাতে ৫ টি পাতায় ৫ টি নাইট কুইনের সুবাসিত সুঘ্রাণে সারা বাড়ি সুবাবাসিত হয়ে উঠেছে। শরণখোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালের কন্ঠের শরণখোলা প্রতিনিধি মহিদুল ইসলাম ও দৈনিক প্রবাহ এবং দৈনিক তৃতীয় মাত্রা-র সাংবাদিক ও সংগীতশিল্পী আবু-হানিফ,এর বাড়ির ছাদ বাগানে এই ফুলের দেখা মেলে।বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার এবং চ্যানেল নিউজ ২৪ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি প্রথিতযশা সাংবাদিক আহসানুল করিম হাসান এর সহধর্মিণী বাগেরহাট মির্জাপুর সরকারি প্রাঃ বিদ্যাঃ প্রধান শিক্ষিকা মানসুরা খানম চম্পা তার স্কুলের বাগান থেকে নাইট কুইনের একটি পাতা ছোটো বোন রায়েন্দা মডেল সরকারি প্রাঃ বিদ্যাঃ সহকারী শিক্ষিকা আসমা আক্তারের কাছে শরণখোলায় পাঠিয়ে দেয়।সেই পাতা ছাদ বাগানে লাগানোর পরে পাতা থেকে পাতা বাড়তে থাকে এবং দীর্ঘ সাত বছর পরে পাতার শিরায় শিরায় কলি ফুটতে শুরু করে। আজ সেই পাতা থেকে ৫ টি নাইট কুইনের দেখা পাওয়া যায়। উল্লেখ্য এর আগে ১৯৯৬ ইংরেজি সালে এই পরিবারের নাইট কুইনের বাগান ছিলো। তখন একই রাতে বাগানে মোট ৪৭ টি নাইট কুইনের দেখা মিলেছিলো।পরিবারের সকল সদস্যরা দাবি করেছিলো বাংলাদেশে একরাতে ৪৭ টি নাইট কুইনের দেখা কেউ পাইনি।আমরাই প্রথম।সেই ফুলের ছবি সাংবাদিকরা তুলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছিলো।১৯৯৬ ইং সালের নাইট কুইনের বাগানটির সার্বক্ষনিক পরিচর্যা করতো বর্তমানে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ও মিউজিসিয়ান শামীম হাসান। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সেই নাইট কুইনের বাগান টি আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে গেলো, তার কারন গণমাধ্যমে নাইট কুইনের ছবি সহ সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে অনেকেই ওই ফুলের লোভ সামলাতে পারেনি।।ফুল আল্লাহর দেয়া পবিত্র উপহার, সেই ফুলের বাগানে চোরাদের হাত লাগলো তার পরে সেই বাগান আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে গেলো। তবে যাহারা বাগান থেকে না বলে নাইট কুইনের পাতা নিয়েছে তারা কেউই ফুল ফুটাতে সক্ষম হইনি ।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button