খুমেক হাসপাতালে ৫০ জনের বেশি আউটসোর্সিং কর্মচারীর বেতন বন্টনে অনিয়ম

# সহকারি পরিচালকের নির্দেশনায় বেতনের তালিকা হয়েছে : ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান
স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবারও অর্ধশতাধিক এর বেশি আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বেতন বন্টনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে কয়েক দফায় এসব গরীব কর্মচারীর কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে বেতনের টাকা আত্মসাৎ করলেও এবারে কৌশল ভিন্ন। অনিয়মের বিষয়ে হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক ডাঃ মিজানুর রহমানের দিক অভিযোগ তুলছেন ঠিকাদার ও ভুক্তভোগী কর্মচারীরা বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালটিতে একাধিক কর্মচারী বলছেন ডাঃ মিজানের পছন্দের মানুষকে নিয়োগ ও তাদেরকে আমাদের পরিশ্রমের প্রাপ্য বেতন দেয়া হয়েছে। জানা যায় হঠাৎ করে খুমেক হাসপাতালে গেল এপ্রিল মাসে হাসপাতালে দায়িত্বরত মোট ২০৬ জন আ্উটসোর্সিং কর্মচারীর মৌখিক পরিক্ষা নেয়া হয়। হাসপাতালটির নোটিস বোর্ডে দেয়া হয় রোল নাম্বার ও মোখিক পরিক্ষার তারিখ সময়। এর পর সবাইকে বলা নতুনভাবে নিয়োগপত্র নিতে হবে। এর জন্যে সবাইকে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। এক প্রকার বাধ্য হয়ে চাকুরী হারানোর ভয়ে অধিকাংশ আউটসোর্সিং কর্মচারীরা বিশ হাজার টাকা দেয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। জানা যায়, খুমেক হাসপাতালে মোট ১০৭ জনের লট, ৯৫ জনের লট ও ৪জন মোট ২০৬ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী কাজ করেছেন। এর মধ্যে গেল জানুয়ারী-জুন মাসে বেতন পাওয়ার কথা। এর মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মচারীর বেতন নেই। এ বিষয়ে নিজ নিরাপত্তার স্বার্থে নাম না প্রকাশ শর্র্তে কর্মরত আউটসোর্সিং কর্মচারী বলেন, আমরা তিন মাস আগে বিশ হাজার টাকা দিয়ে নতুন ভাবে নিয়োগপত্র নিয়েছি। আমাদের ঈদের আগে তিন মাসের বেতন দেয়া হয়েছে। এখন শুনছি বেতনের তালিকায় আমাদের নাম নেই। মূলত ডাঃ মিজান স্যারের এলাকায় মোঃ রানা নামের একজন আউটসোর্সিং কর্মচারী আছে। তার মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নতুন ভাবে কর্মচারী নিয়েছে। আর আমাদের পরিশ্রমের বেতনের অর্থ তাদেরকে দিয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাছরাঙ্গা সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিঃ ও কন্ট্রাক্ট ক্লিনিং সার্ভিস এর পরিচালক হেমায়েত হুসাইন ফারুক বলেন, আমরা সরাসরি বেতন প্রদান করিনি। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মিজান স্যার তালিকা করেছে আমি কিছু জানিনা। আর তিনিই বেতন দিয়েছেন। আপনারা বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করলে জানতে পারবেন। সব সময়ে আমার দোষ হয়। আমার কিছু করার নেই। তবে হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমি কিছু জানিনা সব কিছু ঠিকাদার জানে আর পরিচালক স্যার বলতে পারেন। আমার কোন লোক নেই যে আমি বেতন দিব। আমি শুধু তাদের ডিউটি রোস্টার করি। এ বিষয়ে হাসপাতালটির পচিালক ডাঃ মুহসিন আলী ফারাজি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানিনা। এটা ঠিকাদার বলতে পারে। এ বিষয়ে খুলনা দুর্নীতি দমন কমিশন এর বিভাগীয় পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমাদের কাছে কোন ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে ভালো হতো। তারপরও আমি দেখছি আমি খুলনার বাহিরে অবস্থান করছি। আগামী মঙ্গলবার অফিস করব। বিষয়টি তদন্ত করব।