যশোরে এক নারীকে নিয়ে আশরাফুল ইসলাম বিপুল খুনের শিকার

# দুই সন্ত্রাসী র্যাবের হাতে গ্রেফতার #
যশোর ব্যুরো ঃ শহরের ষষ্টিতলা বুনোপাড়া রোডস্থ জনৈক হুমায়ূন এর বাড়ির সামনে চিহ্নিত সন্ত্রাসী আশরাফুল ইসরাম বিপুল (২৫) নামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতর মাতা মোছাঃ মোমেনা খাতুন বাদি হয়ে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগী আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকসদল রিয়াজ হোসেন বাপ্পী ও রাজীব হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। বাপ্পী যশোর শহরের ষষ্টিতলা ( মোস্তাকের বাড়ির সামনে ) আব্দুল খালেকের ও রাজীব হোসেন ষষ্টিতলা ৬নং ওয়ার্ডের আক্তার হোসেনের ছেলে। মামলায় আসামী করা হয়েছে, রিয়াজ হোসেন বাপ্পী, ষষ্টিতলার মোস্তর ছেলে রুবেল, সদর থানার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ওলিয়ারের ছেলে রব, ডালমিল কলাবাগান এলাকার ইমনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।
মামলায় নিহতর মাতা উল্লেখ করেন,তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম বিপুল এসিআই কোম্পানীতে চাকুরী করে। রিয়াজ হোসেন বাপ্পীর সাথে তার পুত্রবধূ মোছাঃ সুমাইয়া খাতুন (২২) এর সাথে গত অনুমান ৬ মাস পূর্বে ছেলে রিয়াজ হোসেন বাপ্পীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শারীরিকভঅবে নির্যাতন করায় ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক রিয়াজ হোসেন বাপ্পীকে তালাক দেই। পরবর্তীতে গত অনুমান সাত মাস পূর্বে ছেলে রিয়াজ হোসেন বাপ্পীর সাথে সুমাইয়া খাতুনের ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বাপ্পী বাদির ছেলে বিপুল ও তার পূত্রবধু সুমাইয়া খাতুনকে বিভিন্ন সময় খুন জখমের হুমকী দিয়ে আসছিল। ফলে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। গত শনিবার ১২ জুলাই সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭টার সময় বিপুলের বন্ধু ইমন বাদির ছেলেকে মোবাইলে কল ও ম্যাসেঞ্জারে মেসেজ দিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। শনিবার রাত অনুমান ৮টার সময় ষষ্টিতলা বুনোপাড়া রোডস্থ জনৈক হুমায়ূন এর বাড়ির সামনে বিপুল আসা মাত্রই উল্লেখিত আসামীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অস্ত্র দিয়ে বিপুলকে মারতে গেলে দৌড়ে হুমায়ূন এর বিল্ডিং বাড়ির ২য় তলার সিড়ির উপরে গেলে বাপ্পীর হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে বিপুলকে খুন করার উদ্দেশ্যে শারীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ী কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। রুবেলের হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে বাদির ছেলেকে খুন করার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপুর্যপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে বাদির ছেলে প্রাণে বাঁচার জন্য গলি পথে ও রাস্তায় ছুটোছুটি করতে উপরোক্ত আসামীরা বিপুলের পিছু ধাওয়া করে এবং সকল আসামীরা উপুর্যপরি কুপিয়ে ছেলে বিপুলকে রক্তাক্ত জখম করে। রুবেল তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে বাদির ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্য আসামীরা বিপুলকে এলোপাতাড়ীভাবে কুপিয়ে জখম করে। বিপুলকে পথচারী রনি নামে এক যুবক উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে। এ ঘটনার পর র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকসদল সোচ্চার হয়ে আসামীদের সনাক্তর এক পর্যায় রোববার ১৩ জুলাই শহরের ভোলাট্যাংক রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।