খুলনায় ভরা মৌসুমেও ইলিশের বাজারে আগুন

শেখ ফেরদৌস রহমান : চলছে ইলিশ মৌসুম তবে বাজারে ইলিশের দাম নাগালের বাইরে। চাহিদার তুলনায় সরবারাহ কম থাকায় ইলিশ বাজার যেন আগুন। সাধারণ নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষের দাম শুনে যেন পালিয়ে যাচ্ছে। শুধু মাত্র সামর্থবানরা ক্রয় করছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এ দিকে বাজারে সচারাচর ইলিশ চোখে পড়ছেনা আর গুটি কয়েক দোকানে ইলিশ থাকলেও ৫ থেকে ৬টি মাছে কেজি ইলিশের দাম ৮শ টাকা। এছাড়া ৬শ গ্রাম ইলিশের কেজি ১৫শ, ৮শ’গ্রাম ইলিশের কেজি ২৪শ টাকা, আর কেজি সাইজ এর উপরে ৩ হাজার টাকা প্রতি কেজি। এ বিষয়ে কথা হয় মাছ বিক্রেতা মোঃ মাহমুদুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, ভাই বাজারে আমি এক মাত্র ঝুঁকি নিয়ে মাছ উঠিয়েছি। আর দেখেন কেউ উঠায়নি। রূপসা মাছ আড়ৎে মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আর যা আসে তা ও খুব কম। যে কারণে দাম বেশি। এ বিষয়ে কথা হয় ক্রেতা মোঃ তরিকুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, ভাই কি আর বলব? বাজারে ইলিশের দাম বেশি শুনে অনলাইনে কম দাম দেখে অর্ডার করেছিলাম চাঁদপুর ইলিশ বাড়ীতে তবে অগ্রীম ৫শ’ টাকা নেয়ার পর আর ফোন ধরছেনা। আর বাজারে তো যে দাম এক কেজি ইলিশ মাছ ছোট তারপরও দুটিতে কেজি দাম ১৫শ টাকা। আমাদের মত মধ্য বিত্তদের জন্য ইলিশ এখন সোনার দামের সমান । এ বিষয়ে খুলনা ৭ নাম্বার ঘাট এলাকায় সাঈদ ফিস ট্রেডার্সের পরিচালক মো: সাঈদ বলেন, ভাই গেল বছরের তুলনায় এবছর ১শ’ভাগের মধ্যে ১ ভাগ ও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছেনা। আর নদীতে তো কোন ইলিশের দেখা মিলছেনা এমনকি গভীর সমুদ্রেও একই অবস্থা। জেলেরা ছোট বোট নিয়ে গেলে মাছ পাচ্ছেনা এমনকি তাদের যে খরচ সেই টাকাও তারা উঠাতে পারছেনা। তবে বড় বোট নিয়ে গেলে খরচের টাকা কিছুটা উঠে। কিছু পাওয়া গেলেও এক লাখ টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা মণ। তাহলে কত টাকা করে বিক্রি হবে। এখন আল্লাহর সাহায্য ছাড়া মনে হয়না যে ইলিশ আর আগের মত পাওয়া যাবে। আমরা প্রতি বছর এমন সময়ে ইলিশ সরবারাহ করতাম ঢাকা সহ অন্যান্য জায়গায়। এবছর আশেপাশের নদীর থেকে মাছ না পাওয়াতে স্থানীয় বাজারে সরবারাহ করা যাচ্ছেনা। এ বিষয়ে খুলনা মৎস অধিদপ্তরের বৈজ্ঞনিক কর্মকর্তা মো: শফিউল আহসান বলেন, এবছর ইলিশ মাছের আকাল। এর কারণ বৈরি আবহাওয়া। আর সুমুদ্রে উত্তাল ডেউয়ের কারণে গ্যাস তৈরি ও ইলিশ মাছ আহরণ কম। আমাদের আশেপাশের নদীতে ইলিশ নেই। এখন শুধু মোহনা আর সুমুদ্রে ইলিশ পাওয়া যায়। তবে বৈরি আবহাওয়া কমলে ইলিশের পর্যাপ্ত আহরণ হতে পারে। এছাড়া আশেপাশের নদীর গভীরতা কম থাকায় এর একটা প্রভাব পড়ছে।