তেরখাদার সাংবাদিক প্রিন্সের ইন্তেকাল : দাফন সম্পন্ন

# প্রবাহ পরিবারের শোক #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ তেরখাদায় সাংবাদিক জিএম বাসিতুল হাবিব প্রিন্স (৫৫) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বুধবার সকালে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা যায়, বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর নিজ বাসভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পরই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। প্রিন্স তেরখাদা উপজেলার সদরের কাটেঙ্গা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। বুধবার আসরের নামাজের পর উপজেলা সদরের কাটেঙ্গায় তাঁর নিজ বাড়ির সামনে জানাজা নাজাম অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিএনপি নেতা চৌধুরি ফখরুল ইসলাম বুলু, রবিউল হোসেন, জামায়াত নেতা ওবায়দুল্লাহ বাবু, মারুফ মোল্লা, মাওঃ মাহমুদুর রহমান, মাওঃ হুসাইন আহমেদ, আ’লীগ নেতা মোল্লা আজিজুর রহমান, মোল্লা শাহ আলম, ,মনিরুজ্জামান, তেরখাদা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুর মোহাম্মদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সহকর্মী সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব শিক্ষক মাওলানা ফয়জুল্লাহ। জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সাংবাদিকতা জীবনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে খুলনার স্থানীয় দৈনিক প্রবাহ পত্রিকায় সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। তার মৃত্যুতে তেরখাদা ও খুলনার সাংবাদিক সমাজ, রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণ মানুষের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী সাংবাদিকরা তার পেশাগত নিষ্ঠা ও সহানুভূতিশীল ব্যক্তিত্বের কথা স্মরণ করে শোক প্রকাশ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তানসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মেয়ে নুসরাত জাহান হারিসা খুলনা মেডিকেল কলেঝের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। প্রিন্সের মৃত্যুকে প্রবাহ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আশরাফ উল হকসহ প্রবাহ পরিবারের সকলে শোক প্রকাশ করেছে। তারা শোক সন্তপ্ত পরিাবরের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন্ করেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও সামাজিক সংগঠনগুলো তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।