বিএনপি নেতা রিয়াজকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা মামলায় ফ্যাসিস্ট পিন্টুকে শ্যোন এ্যারেষ্টের জন্য আবেদন

বৃহস্পতিবার আবেদনের ওপর শুনানী
স্টাফ রিপোর্টারঃ অবশেষে বিএনপি নেতা রিয়াজকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা মামলায় শ্যোন এ্যারেষ্ট দেখানো হলো ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফ্যাসিস্ট সুলতান মাহমুদ পিন্টুকে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ওই আবেদনের ওপর শুনানী অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনা ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইকবাল হোসেন। এ মামলায় এ যাবৎ ৫/৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২০ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর হাকিম আদালতে এ আবেদন করেন। যার দৌলতপুর থানার মামলা নং-১৩, তারিখ-০৮/০৯/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩২৬/৩০৭ পেনাল কোড। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি নেতা শেখ রিয়াজ শাহেদকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দিগ্ধ আসামী সাবেক কাউন্সিলল পিন্টু ওরফে সুলতান মাহমুদ পিন্টুকে (৫১) মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন দাখিল পূর্বক জানানো যাচ্ছে, উক্ত আসামী ফুলতলা থানার মামলা নং৮,তারিখ২৯/০৮/২০২৪,ধারা১৪৩/১৪৭/৪৪৭/৪৪৮/৪২৭/৩৮০/৪৩৬/১১৪/৫০৬ পেনাল কোড তৎসহ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি উপাদনাবলী আইন ১৯০৮ এর ৩ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করে আদালতে সি/ডব্লিউ মূলে বর্তমানে জেল হাজতে আটক আছে। অত্র মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর’২২ রাত ৯টার সময় বাদী রিয়াজ শাহেদ মোটর সাইকেল যোগে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করে বিএল কলেজের ২নং গেইটের সামনে নিপার বাড়ির সামনে পৌছিলে অজ্ঞাতনামা আসামীরা মোটর সাইকেল যোগে পিছন দিক থেকে এসে ভিকটিম রিয়াজ সাহেদকে লক্ষ্য করে গুলি করলে উক্ত গুলি তার ডান হাতে লেগে জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। বাদী মোটর সাইকেল চালিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে থাকলে বাদীকেও পরপর ৪ রাউন্ড গুলি করলে বাদী গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ভিকটিম রিয়াজ সাহেদ ও বাদীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকালে ফ্যাসিস্ট পিন্টু ওরফে সুলতান মাহমুদ পিন্টু’র বিরুদ্ধে বাদী ও ভিকটিমকে গুলি করে হত্যার চেষ্টার সাথে জড়িত থাকার স্বপক্ষ্যে প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে মামলার ঘটনা সংক্রান্তে সন্দিগ্ধ উক্ত আসামী পিন্টু’কে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটিত হবে। সে কারণে খুলনা জেলার জেলহাজতে আটককৃত উক্ত সন্দিগ্ধ আসামী পিন্টু’কে উক্ত মামলায় গ্রেফতার দেখানো বিশেষ প্রয়োজন। বাদীসহ ভিকটিমন্বয়কে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের নাম-পরিচয়সহ অবস্থান জানাসহ গ্রেফতারের নিমিত্তে খুলনা জেলার জেল হাজতে আটককৃত আসামী পিন্টু ওরফে সুলতান মাহমুদ পিন্টু আলোচ্য মামলায় গ্রেফতার দেখাতে আবেদন করা হয়। ভিকটিম শেখ রিয়াজ শাহেদ ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও বর্তমানে খালিশপুর থানা বিএনপির সদস্য। তিনি বলেন, সুলতান মাহমুদ পিন্টু আওয়ামীলীগ আমলে শেখ পরিবারের ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করতো। সে শেখ পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব পালন করতো। মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে দু’টি হাতি উপহার দিয়ে এ পিন্টু শেখ বাড়ির আস্থাভাজন লাভ করে। কেসিসির সাবেক মেয়র আঃ খালেকের পক্ষে ভোট চাওয়া, সাবেক সংসদ এসএম কামালের পক্ষে ভোট চাওয়া ছিল এলাকায় চোখে পড়ার মত। তিনি এ অঞ্চলে ফ্যাসিস্ট আ’লীগের দায়িত্বশীল ভূমিকায় ছিলেন। শেখ বাড়ির ক্ষমতায় তিনি বেপরোয়া হয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নানা ধরনের কুটকৌশল ব্যবহার করতেন। তা না হলে প্রতিপক্ষকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতেন। তার নামে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তেল ব্যবসায়ী শেখ ফরহাদ হোসেন জানান, তার সাথে শুধু ব্যবসায়ীক বিরোধ থাকার কারণে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাস দিয়ে তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে এই পিন্টু। এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে পিন্টু বিএনপির অফিস ভাংচুর মামলায় কারাগারে রয়েছে। গত ২১ মে তিনি আদালতে আতœসমার্পন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।