স্থানীয় সংবাদ

দৌলতপুর মুহসিন মহিলা কলেজ’র অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ

# ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত অডিট হিসাবে গোঁজামিল
# দীর্ঘ ৯ বছর অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার আয় ও ব্যয়ের সঠিক কোন তথ্য নেই #

স্টাফ রিপোর্টার : দৌলতপুর মুহসিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল লতিফ’র বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজের অধ্যক্ষ দীর্ঘদিন অভ্যন্তরী নিরীক্ষা রিপোর্ট (অডিট) বিলম্বিত করেছেন। গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত অডিট হিসাবে কোন কাগজপত্র বা হিসাব সঠিকভাবে অডিট কর্মকর্তাদের প্রদান করতে পারেননি. বাৎসরিক বাজেট এবং ব্যয় বিবরণে আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে। পূর্ববর্তী সময়কালে সরকারি অডিট রিপোর্ট’র বিষয়ে নিরীক্ষাকে মৌখিক ভাবে জানালেও তা নিরীক্ষায় উপস্থাপন করা হয়নি। এক্ষেত্রে তিনি যৌক্তিক ব্যাখ্যা করে কাগজে যেনতেন প্রকারে সামঞ্জস্যহীন ভাবে তথ্যাদি উপস্থাপন করেছেন। অফিস প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত জবাব নিরীক্ষায় বিবেচিত হয়নি। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া যুক্তিযুক্ত। কোনমতেই ইম্প্রেস্ট ফান্ড ব্যতীত নিজ কাজে বা তথ্যাবদানে অর্থ রাখা সাময়িক তছরুপ হিসাবে গণ্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও প্রশাসনিক দুর্বলতার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান তথা অধ্যক্ষ দায়ী বলে মনে করেন অডিট কমিটি।নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বার্ষিক অথবা অর্থবছর অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা (অডিট) করাতে হয়। তবে দৌলতপুর মুহাসিন মহিলা কলেজের অফিস প্রদান অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল লতিফ বিভিন্ন পন্থায় অর্থ আত্মসাদ করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট কলেজ পরিচালনা পর্ষদের থেকে জানানো হয়। এ বিষয়ে অডিট কমিটির প্রধান জি এম আনিসুর রহমান রিপোর্টে জানান,সরকারি নির্দেশনা ও নীতিমালা অনুসরণ বাধ্যতামূলক হওয়া সত্বেও তা অনুসরণ না করায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও প্রশাসনিক দুর্বলতার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ দায়ী অডিট কমিটি মনে করেন এবং সেই সাথে অর্থ তসরুপের আওতাভুক্ত দ-নীয় অপরাধ। অডিট কমিটি অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে প্রাপ্ত আয় ও জমা করনের ক্রেডিট ভাউচার সংরক্ষিত না থাকায় অর্থ আত্মসাৎ পরিলক্ষিত হয়।তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দকৃত সরকারি অনুদানসহ অনেক ক্ষেত্রে কোন ডকুমেন্ট নিরীক্ষায় উপস্থাপন করতে পারে নাই যা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিপন্থী। উক্ত গরমিল এর মাধ্যমে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এ ধরনের কর্মকা- প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপন করেন কমিটি। এছাড়াও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর তদারকি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-পরিচালক(অবসরপ্রাপ্ত) অর্থ ও হিসাব ও দৌলতপুর মুহাসিন মহিলা কলেজ অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটির সভাপতি জি এম আনিসুর রহমান সভাপতিত্বে দৌলতপুর মুহাসিন মহিলা কলেজের অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গত ১১ মে(রবিবার) ২০২৫ সকাল ১১ টায় কলেজ অভ্যন্তরিন অডিট কমিটির অডিট সংক্রান্ত বিষয় প্রথম সভার মাধ্যমে অডিট কায্যক্রম শুরু করেন। এ সময় কমিটির সদস্য সচিব কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল লতিফ, কমিটির সদস্য প্রফেসর ডক্টর মোঃ মনিরুজ্জামান, সদস্য মোঃ মেজবাহুল ইসলাম, সদস্য নওরোজি কবির ও সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান শেখ উপস্থিত ছিলেন। সহযোগিতা করেন সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহফুজুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা মনোয়ার ও কম্পিউটার অপারেট ও ভারপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষক মনিরা সুলতানা। দৌলতপুর মুহসিন মহিলা কলেজ এর পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের আলোকে গঠিত কমিটির অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা সমাপ্ত অডিট প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্ধারিত ২২জুলাই ২০২৫ কলেজের অধ্যক্ষ ও সদস্য সচিব সংশ্লিষ্ট কমিটির উপস্থিত থাকতে এবং স্বাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এবং মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেন তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয় কলেজ উপাধ্যক্ষ কে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করার জন্য বলেন সে মতে কলেজের উপাধ্যক্ষ অত্র প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button