স্থানীয় সংবাদ

জুলাই পদযাত্রা সফল করতে গণসংহতি আন্দোলনের মত বিনিময় সভা

খবর বিজ্ঞপ্তিঃ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আখাংক্ষায় নতুন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং বন্ধকৃত সকল রাষ্ট্রীয় পাটকল- নিউজপ্রিন্ট-হার্ডবোর্ড মিলসহ খুলনার শিল্প কলকারখানা চালুর দাবিতে গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির উদ্যোগে আগামী সোমবার জুলাই পদযাত্রা ও সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে ২৪ ও ২৫ জুলাই ২দিনব্যাপী খুলনা মহানগরের খালিশপুর, ফুলতলা উপজেলা ও যশোরের অভয়নগরে মতবিনিময়, কর্মীসভা, গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। খালিশপুর ও ফুলতলা উপজেলার মতবিনিময় ও কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল। খালিশপুরের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলন খালিশপুর থানা আহবায়ক মোশারেফ হোসেন, খালিশপুর জুটমিলের শ্রমিকনেতা ও সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন মনি, ক্রিসেন্ট জুটমিলের শ্রমিকনেতা মোঃ জাকির হোসেন, স্টার জুটমিলের শ্রমিকনেতা আলমগীর হোসেন, প্লাটিনাম জুটমিলের শ্রমিকনেতা মোঃ নূরুল ইসলাম, নূর আলম, হার্ডবোর্ড মিলের শ্রমিকনেতা মোঃ জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। ফুলতলা উপজেলার সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আহবায়ক মোঃ অলিয়ার রহমান শেখ, অভয়নগর উপজেলার আহবায়ক রাফেজা বেগম, সদস্য সচিব সামস সারফিন সামন, ফুলতলা উপজেলা সদস্য নাদিরা খাতুন, মফিজুর রহমান প্রমুখ। অভয়নগরের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলন অভয়নগর উপজেলার আহবায়ক রাফেজা বেগম, সদস্য সচিব সামস সারফিন সামন , যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জহুরুল সরদার, নাইম উদ্দীন, সাকিব ইসলাম, মোঃ আনিস, নাহিদ, রুবেল প্রমুখ। মতবিনিময় ও কর্মীসভায় প্রধান অতিথি মুনীর চৌধুরী সোহেল বলেন, ২০২০ সালের ২জুলাই বাংলাদেশে বিগত আওয়ামী শাসকের কালো থাবা পড়ে রাষ্ট্রীয় পাটকলগুলোর ওপর। সে সময় খুলনা অঞ্চলের ৯টিসহ সারাদেশে মাত্র ২৬টি পাটকল চালু ছিলো । অবৈধ সরকারকে চিরস্থায়ী করার জন্য দেশি-বিদেশি শক্তিকে তুষ্ট করার জন্য শেখ হাসিনা একযোগে ২৬টি পাটকল বন্ধ করে দেন। দীর্ঘ ৫ বছর হলো রাষ্ট্রীয়ভাবে পাটকলগুলো বন্ধ রয়েছে। ৩ মাসের মধ্যে বন্ধকৃত ২৬টি পাটকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু ও আধুনিকায়ন করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও সেটা পরবর্তীতে আর কার্যকর হয় নি। এ সকল পাটকল লিজ বা ইজারা’র মাধ্যমে ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর হচ্ছে। দেশি-বিদেশি চক্রান্তে নিউজপ্রিন্ট মিল, হার্ডবোর্ড মিল, টেক্্রটাাইল মিল, দাদাম্যাচ ফ্যাক্টরীসহ অসংখ্য শিল্প কলকারখানা ধ্বংস করা হয়েছে। সম্প্রতি যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ (জেজেআই) ও খালিশপুরে অবস্থিত খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলে মহামূল্যবান যন্ত্রপাতি পাচার-লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে শিল্পাঞ্চল। কলকারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। মুনীর চৌধুরী সোহেল আরো বলেন, খালিশপুর, দৌলতপুর জুটমিলসহ সারাদেশের ৫টি পাটকলের শ্রমিকরা এখনো বকেয়া পাওনার ১টি টাকাও পাননি। অথচ দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর দৃষ্টি গেছে হাজার কোটি টাকার স্থাপনা ও সম্পদের ওপর। এই রাষ্ট্রীয় লুটপাটতন্ত্র চলমান থাকায় শ্রমিকদের জীবনমানের কোনো পরিবর্তন ঘটছে না।দেশের বিদ্যমান পরিস্িিথ পরিবর্তনের জন্য দরকার রাষ্ট্রের নতুন বন্দোবস্ত, দরকার অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের। তিনি এলক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আগামী ২৮ জুলাই পদযাত্রা ও সমাবেশ সফলে শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button