স্থানীয় সংবাদ

খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বেহাল দশা

# ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন, পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে
# জনভোগান্তি চরমে

সেকেন্দার মোড়ল, চুলকাটি প্রতিনিধি ঃ খানা-খন্দে খুলনা-মোংলা মহাসড়ক এখন মরণফাদে পরিণত হয়েছে। পিচঢালা রাস্তার পিচ উঠে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে তা এখন যানবাহন ও পথচারী চলাচলের চরম সমস্যার করণ হয়ে দাড়িয়েছে। অতিদ্রুত মোড়ের পিচঢালা রাস্তা পূণঃ সংস্কার করা না হলে যানবাহন চলাচলে চরম বাঁধা হয়ে দাড়াবে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় এলাকাবাসি সড়ক ও জনপদ বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা যায়, প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে খুলনা মোংলা মহাসড়েকের এই করুন পরিস্থিতির শিকার হয় সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা। আর প্রতিবছরে নামমাত্র সংস্কার করা হয় এই মহাসগক। কিছুদিন আগেও মহাসড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। কিছু দিনের ব্যবধানে আবারো সড়কটি বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিন সংস্কারের চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। খানা-খন্দে ভরা এ সড়কে যানবাহন চলাচলে এখন প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। তারা সড়কের এমন বেহাল দশার জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। আর রাতের বেলায় এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করা আরো কষ্টকর। মহাসড়েকের কোথাও নেই কোন ল্যাম্প পোস্ট, নেই আলো। অন্ধকারে ভ্যান, সাইকেল মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন শিকার হচ্ছে। এসব পরিবহনের নিজস্ব আলোই বর্ষা মৌসুমে থানা খন্দ গুলি ভালোভাবে দেখা যায় না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের দ্বিতীয় মোংলা সমুদ্র বন্দর। এ বন্দরে আমদানী-রপ্তানী পণ্যসহ স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা উৎপাদনমুখী ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্থলপথে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মোংলা-খুলনা মহাসড়ক। মহাসড়কটির সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২৫ কিলোমিটার এবং ৫ কিলোমিটার মোংলা বন্দরের আওতায়।
মহাসড়ক জুড়েই খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় নানা দুর্ভোগে পড়ছে এখন হাজার হাজার পণ্যবাহীসহ সকল প্রকার যানবাহন ও পথচারীরা। এছাড়াও খুলনা মোংলা মহাসড়কের কুদির গাছতলা মোড়, লকপুর এলাকার কিছু অংশ, কাটাখালি মোড়,শ্যামবাগাত, চুলকাঠি এলাকার কিছু অংশ, সোনাতুনিয়া বাস স্ট্যান্ড, ভরসাপুর মোড় হতে খানজাহান আলী বিমানবন্দর এর সামনে মহাসড়কের বেশ কিছু অংশ ছোট বড় গর্ত ও খানাখন্দ রয়েছে। এ সড়কে চলাচলকারী গাড়ী চালক রিপন, হানিফ, আল- আমিন‘ জানান “একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে যায়। ভারি যানবাহন চলাচল করায় সড়কের সংস্কার কাজ বেশিদিন টেকে না। এতে নানা ভোগান্তির পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে গাড়ির চাকা ও যন্ত্রাংশ।” এই এই মহাসড়ক দিয়ে সাইকেল যোগে প্রতিদিন খুলনায় যাওয়া হাসান আলী জানান, ‘নিয়মিত গতানুগতিক মেরামত কাজ চললেও ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে ফের ভেঙে যায় এতে প্রায় আমরা মটরসাইকেল নিয়ে দূর্ঘটনার স্কীকার হই। ভাংগার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে গেলে পেছন থেকে আসা ভারী যানবাহনের দ্বারা জীবন নাশের মত দূর্ঘটনার সম্ভবনাও থেকে যায়।’ পথচারীরা জানান, সড়কটি ব্যবহারে আমাদের যেমন সময় নষ্ট হয় তেমনি অর্থও। তাই কর্তৃপক্ষককে অনুরোধ করবো দ্রুত এ সড়কটি যেন মেরামত করা হয়। গত শুক্রবার মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, কিছু কিছু গর্তের মধ্যে ইট বসানো হয়েছে। বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমের কারণে টানা ১ মাস বৃষ্টিতে বটতলা থেকে দিগরাজ পর্যন্ত মহাসড়কে খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে ইতিমধ্যে বাগেরহাট সড়ক বিভাগের একটি ট্রাক দিয়ে মহাসড়কের কাজ চলছে, কিছু কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা যায় ১ সপ্তাহের মধ্যে বাকি কাজ আমরা শেষ করতে পারবো। এসময় তিনি আরও বলেন দিগরাজ থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থা এবং এটি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় বলে তিনি জানান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button