খুলনায় বাসাবাড়ির ব্যবহৃত এলপি গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে চলছে সিএনজি অটোরিকশা

# মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে খুলনা জেলা ও শহরের রাস্তাগুলো
# জেলার ৯০% সিএনজিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বাসাবাড়ির ব্যবহৃত এলপি গ্যাস
# নিরব জেলা পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনায় যত্রতত্র চলছে বাসা বাড়ির এলপি গ্যাস দিয়ে সি এন জি অটোরিকশা। যেখানে প্রতিদিন খুলনা বাসা বাড়ি হোটেল মোটেল গুলোতে ঠান্ডা জায়গায় ঘটছে এলপি গ্যাস বিস্ফোরনের ঘটনা। প্রতিনিয়তই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। অথচ একটি পাইপলাইন দিয়ে চলন্ত গাড়িতে গরম ইঞ্জিন এর মধ্যে যত্রতত্র পাইপ লাইন ব্যবহার করে সিএনজির পরিবর্তে বাসা বাড়িতে ব্যবহারিত এলপিজির গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে চলছে অটোরিকশা। আর এতে করে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন খুলনার সাধারণ মানুষ। খুলনা জেলার প্রায় ৯০ শতাংশ এবং মেট্রোপলিটনে ৪৫ শতাংশ সিএনজি এখন বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে চলছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় যত্রতত্র এলপি গ্যাস ব্যবহার দেখে সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
খুলনা জেলার জেলখানা ঘাট, সেনের বাজা, রূপসা ঘাট ফুলতলা এলাকাসহ মেট্রোপলিটনের দৌলতপুর ডাকবাংলা মোড় এলাকা ঘুরে দেখা মেলে যত্রতত্র সিএনজি অটো রিকশায় বাড়িতে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের ব্যবহার , এতে জীবনের ঝুঁকি জেনেও যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ,অনেকে আবার ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছেন বিষয়টিকে, তবে এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে এর জেলখানা ঘাট, সেনের বাজার এলাকায় জেলখানা ঘাটের ওপারের সুবহান নামের এক যাত্রী বলেন,এই এলাকার ১০০% গাড়িতে এ গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। এটাতো পুরা একটি তাজা বোমের মধ্যে বসে আছি আমরা, বাসা বাড়ির ঠান্ডা জায়গায় যেখানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয় । সেখানে আমি যে সিএনজিতে বসে আছি তার নিচের সিলিন্ডারটি সব সময় ঝাঁকি এবং ইঞ্জিন গরম হচ্ছে, যেকোনো সময় এটা বাস্ট হয়ে সকল যাত্রী মৃত্যু হতে পারে। রেহানা নামের এক যাত্রী বলেন, আল্লাহ ভরসা জন্ম মৃত্যু আল্লাহর হাতে মারা গেলে কি করব। প্রশাসন এগুলো এখন দেখবে না, মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গেলে তখন এই নিয়ে তদন্ত হবে। বাসাবাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে সিএনজির এক চালক বলেন,এখনো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে নি আশা করি ঘটবে না। সুমন নামের এক চালক বলেন, আমাদের জেলখানা ঘাটের এই পাড়ে সিএনজি স্টেশন না থাকায় আমরা বাধ্য হয়ে এ কাজ করছি এটা জীবনের ঝুঁকি তা জেনেও করতে হচ্ছে আমাদের। খুলনার সচেতন নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব, অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, আমাদের বুঝ আসেনা যে সাধারণ মানুষের চোখে পড়ছে এত প্রশাসনের কারোর চোখে পড়ছে না এটা। অথচ দুর্ঘটনা ঘটার পরে প্রশাসন নানা প্রকার অজুহাত দাঁড় করাবেন। সুতরাং সকল ঘটনা ঘটার পূর্বে প্রশাসনের কাজ করা উচিত। সেনের বাজার সিএনজি সমিতির সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন,এখনো দুর্ঘটনা ঘটি নি তবে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন আমাদের নদীর এই পাড়ে কোন সিএনজি স্টেশন না থাকায় এ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছি। এর দায়ভার কে নেবে যদি দুর্ঘটনা ঘটে। এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্ঘটনা ঘটলে তো আমি নিজেই বাঁচবো না, কে কার দায়ভার নেবে তখন?
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, আপনার ভিডিওতে যা দেখলাম তা আসলেই একটি ভয়াবহ বিষয় আমরা খুব শীঘ্রই এ এ বিষয়ে কঠিন এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। খুলনা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর দাশ বলেন, আপনার ভিডিও এবং ছবিতে যা দেখলাম খুব বিপদজনক অবস্থায়। আমরা খুব শীঘ্রই বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে খুলনার ৯০% সিএনজির তে এভাবে অবৈধ বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে চালানো হলো জেলা পুলিশ এ ব্যাপারে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি, তবে সাধারণ মানুষের দাবি দুর্ঘটনা ঘটার পরে নয় আগেই, দ্রুত বন্ধ করা হবে এ সকল অবৈধ যানবাহন এবং মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে সাধারণ মানুষকে এমনটাই প্রত্যাশা খুলনাবাসীর