স্থানীয় সংবাদ

আবহাওয়া পরিবর্তনে ছোয়াচেঁ ভাইরাস জ¦রের ব্যাপক প্রকোপ ছড়াচ্ছে

শেখ ফেরদৌস রহমান: ছোঁয়াচে ভাইরাস জ¦রে ব্যাপক প্রকোপ বাড়ছে। ঘরে একজন সদস্য এই ভাইরাস জ¦রে আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমনটি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হঠাৎ এমন ভয়াবহ জ¦রে আক্রান্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে ভাইরাস জ¦রে আক্রান্ত রোগীরা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হচ্ছে বেশি। এমনকি হাসপাতাল গুলোতে জ¦রে আক্রান্ত রোগীদের চাপ বাড়ছে। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলে সাধারণত চিকুনগুনিয়া বা ডেঙ্গু জর¦ হিসেবে প্রমান করা যাচ্ছেনা। এসব জ¦রে আক্রান্ত রোগীরা সাধারণত পাচঁ থেকে সাতদিন পযন্ত হাইগ্রেড জ¦রে ভুগছেন। পাশাপাশি বমি, কাঁপুনি, শরিরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, মাথা ব্যাথা, নাক দিয়ে অঝেরো পানি পড়া, সর্দি, কাশি হচ্ছে। এছাড়া এই জ¦রে একবার আক্রান্ত হলে মেজাজ সব সময়ে খিটখিটে থাকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া এই জ¦রের উপসর্গ দেখা দিলে ঘর থেকে বাহির না হওয়া পাশাপাশি মাস্ক পরিধান করা, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। এছাড়া অন্য আরেকটি ভাইরাস জ¦র হচ্ছে ভাইরাসটির নাম হারপেটিক্র স্ট্রোমা ভাইরাস। এসব ভাইরাস জ¦র সাধারণত শিশুদের বেশি হচ্ছে। বিশেষ করে মুখে ক্ষত হওয়া, বমি হওয়াসহ কিছু খেতে না পারা। এ বিষয়ে কথা হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মিজানুর রহমানের সাথে তিনি বলেন, আমার ছেলের বয়স সারে পাঁচ বছর গেল চার পাঁচদিন যাবৎ প্রচন্ড জ¦র কখনও জ¦র হলে শরীর ঘেমে যাচ্ছে জ¦র পড়ে যাচ্ছে। কোন খাবার খেতে পারছেনা। শরীর প্রচন্ড দুর্বল। আমি মেডিসিন চিকিৎসককে দেখাতে নিয়ে এসেছি। চিকিৎসক মুখে ক্ষতর জন্য একটি ওরাজেল ডিউব ব্যবহার করতে বলেছেন পাশাপাশি শিশুকে তরল জাতীয় খাবার খেতে বলেছেন। জ¦র হলে কুসম গরম পানি দিয়ে পুরো শরীর মুছে ফেলতে বলেন। আর নাপা সিরাপ খেতে বলেছে। এছাড়া এই রোগের কোন প্রতিসেধক বা টিকা নেই। এমনিতে সর্বেচ্চ সাত দিন পর সুস্থ্য হতে পারে রোগীরা। তবে এর থেকে বেশি দিন এই জ¦রের প্রকোপ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টাইফেড, করোনা, চিকুনগুনিয়া ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। একই কথা বলেন, ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান তিনি বলেন, পরিবারে প্রথমে আমার এই জ¦র হয়। আমি প্রথম চার পাঁচদিন মারাত্মক জ¦রে আক্রান্ত হয় শরীরের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে। শীতে সারা শরীর কাঁপতে শুরু করে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধসহ দেশীয় লেবু ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করি। এখন আমার শরীর সুস্থ হলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা এই ভাইরাস জ¦রে আক্রান্ত। এ বিষযে খুলনা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বর্তমান সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এই ভাইরাস জ¦রের প্রকোপ বাড়ছে। কখনও সূর্যের অতি মাত্রায় তাপ আবার কখনও শীতল আবহাওয়ার কারণে এমন ভাইরাসের প্রকোপ ছড়াচ্ছে। একশোর উপরে জ¦র হলে রোগীকে সাপোসিটর দিতে হবে। ঘরের বাহিরে যাওয়া যাবেনা। বিশেষ করে জনসমাগমে। এক সপ্তাহর বেশি জ¦র থাকলে কিছু প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি ভিটামিন সি বিশেষ করে দেশীয় লেবু খেলে ভালো হয়। এছাড়া মৌসুমী ফল খাওয়া যাবে। তরল জাতীয় খাবার খেলে ভালো হয়। সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button