স্থানীয় সংবাদ

খুলনা আইনজীবী সমিতির মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইফুল

হাইকোর্ট কর্তৃক খুলনার কলঙ্ক আখ্যা

জামান ফকির : খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। খুলনার সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির পাশাপাশি তিনি ২০২০ সাল থেকেই আইনজীবী সমিতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। আর্থিক দুর্নীতিসহ অ্যাডভোকেটদের ওপর নির্যাতনেরও অভিযোগ মিলেছে তার বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যেই সমিতিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, লাইসেন্স বাতিলসহ তার সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তার অবৈধ সম্পদ ও অর্থের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী শাসনামলের শেষ দিকে এসে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থীসহ খুলনা-৫ আসনের সংসদ-সদস্য হিসাবে বেশ দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোথাও টিকতে পারেননি। তবে খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদটি ছিল তার পাকাপক্ত। পাশাপাশি ২০২০ সাল থেকে গেল বছরের জুলাই মাস অবধি তার নিয়ন্ত্রণে ছিল খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি ক্ষমতার দাপট দেখাতেন সমিতিতে। তার সঙ্গে অস্ত্রধারীরা থাকায় প্রভাব ছিল অনেক। সমিতির বিভিন্ন ফান্ডের গরমিল পেয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচালনা পরিষদ। এমনকি কোটি কোটি টাকার কোনো ভাউচারও ছিল না।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী বেগম আক্তার জাহান রুকু বলেন, সাইফুলের দুর্নীতি মহাকাব্যের মতো। তিনি ছিল মূর্তিমান আতঙ্ক। ২০২০ সালের পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোনো হিসাব রাখেননি। প্রতিদিন সমিতির আয় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। সেই টাকা ক্যাশে জমা হয়নি। অনেক চেক তার কর্মচারী দিয়ে তুলেছেন। সমিতির ফান্ড শূন্য। জেনারেল ফান্ডের টাকা না বেড়ে বরং কমে গেছে। ২০২২ সালে তিনি সমিতির মেয়াদ দুই বছর করলেন, যা বাংলাদেশের কোনো বারে নেই। একটি সংবিধান করলেও তার অনুমোদন হয়নি। শুধু তাই নয়, তার চেম্বারে ছিল একটি টর্চার সেল। অ্যাডভোকেটদের মারধরও করতেন।
অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু দুদকের : খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিভিন্ন দপ্তরে তথ্য চেয়ে পত্র দিয়েছেন।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এ্যাডভোকেট মো: সাইফুল ইসলামের মেসার্স আমিন সামিন শিপিং লাইন্স, মেসার্স আমিন সামিন কন্সট্রাকশন, মেসার্স আমিন-সামিন ট্রেডিং, মেসার্স এস.এ বিল্ডার্স লিঃ, মেসার্স নয়ন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ইয়াহিয়া কনস্ট্রাকশন, ইউনিক আইস এন্ড ফুডস লিঃ ও মেসার্স মুনমুন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামীয়সহ ৮ টি কোম্পানির তথ্য চেয়েছেন। যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর, খুলনা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, খুলনা বিভাগীয় নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপের প্রশাসক, কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে তথ্য চেয়ে পত্র দিয়েছেন।
আত্মসমর্পণ করেননি সাইফুল : খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম গত ৪ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। উচ্চ আদালতে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ওইদিন তার আত্মসমর্পণের কথা ছিল।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক আইনজীবী জানান, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৬টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া আইনজীবী সমিতির মৃত সদস্যদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। ২৮ এপ্রিল ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর তার নি¤œ আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। ওই দিন তিনি আদালতে উপস্থিত হননি। এরপর সরকারি ছুটি এবং আদালত বন্ধ থাকায় সরকারি কার্যদিবস রোববার হাজির না হওয়ায় উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া তার জামিন বাতিল হয়ে গেছে।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব এড. নুরুল হাসান রুবা জানান, আত্মসমর্পণের আগে আদালতে মামলার নথি জমা দিতে হয়। এমন কোনো কাগজ আদালতে জমা পড়েনি। এর আগেও আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি হাজির হননি। আইনের ভাষায় তিনি পলাতক আসামি।
৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা : ৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম তারিক মাহমুদ তারাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বছরের ২৮ আগস্ট খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচালনা পরিষদের আহবায়ক শেখ নূরুল হাসান রুবা বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য তিন আসামি হলেন, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে এম ইকবাল হোসেন, কাজী বাদশা মিয়া ও সাবেক সভাপতির ক্যাশিয়ার ইসতিয়াক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির অনির্বাচিত জবর দখলকারী নেতা অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম ও এস এম তারিক মাহমুদ সমিতিকে অরক্ষিত রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ৬ আগস্ট সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে এবং ২৭৩ জন সদস্যের উপস্থিতিতে এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় আমাকে (অ্যাডভোকেট শেখ নূরুল হাসান রুবা) সাময়িকভাবে সমিতি পরিচালনার জন্য সদস্য সচিব ও অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চুকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এরপর জেলা জজের অনুমতি নিয়ে তারা জেলা নাজিরসহ জজকোর্টের দুইজন স্টাফসহ তালা খুলে সমিতির অফিস কক্ষে প্রবেশ করে। পরে সমিতির সাধারণ সভা, নির্বাহী কমিটির সভা ও কল্যাণ তহবিলের রেজুলেশন বই পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত কোনো রেজুলেশন লিখিত পাওয়া যায় না। এমনকি সমিতির বিভিন্ন তহবিলের হিসাব সঠিকভাবে লেখা হয়নি। এছাড়া বিশেষ কল্যাণ তহবিলের হিসাব পৃথকভাবে রক্ষিত থাকায় উক্ত তহবিলের হিসাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, আসামি মো. সাইফুল ইসলাম, এস এম তারিক মাহমুদ তারা, কে এম ইকবাল হোসেন, কাজী বাদশা মিয়া ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারির সাধারণ সভায় একজন চেয়ারম্যান এবং সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সদস্য করে একটি বিশেষ কল্যাণ তহবিল গঠন করেন। ওই বিশেষ কল্যাণ তহবিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে অ্যাডভোকেট কাজী বাদশা মিয়া। সদস্য ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট কে এম ইকবাল হোসেন।
আইনজীবী সদস্যগণ ৩০০ টাকা এবং বার ৭০০ টাকা প্রদানের সাপেক্ষে একটি তহবিল গঠন করা হয়। এ সময় পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে প্রত্যেক সদস্যকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়। এরপর সাইফুল ইসলাম, কে এম ইকবাল হোসেন ও কাজী বাদশা মিয়ার স্বাক্ষরে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবরের রেজুলেশনসহ এসআইবিএল ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ওই অ্যাকাউন্টে প্রাথমিকভাবে টাকা জমা হওয়ার পর পৃথকভাবে ৫ বছর মেয়াদী সঞ্চয়ী স্কিম খুলে প্রতি মাসে সেখানে টাকা জমা হয়। কিন্তু পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার দেড় বছর আগেই মো. সাইফুল ইসলাম ও এস এম তারিক মাহমুদ তারা পরস্পরের যোগসাজসে হিসাব বন্ধ করে গত ১ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিন কোটি ৮০ লাখ ২৬ হাজার ৫১২ টাকার মধ্যে তিন কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সদস্যদের মধ্যে দুই কোটি ৪০ হাজার ৪৪০ টাকা প্রদান এবং বাকি এক কোটি টাকা আইএফআইসি বাংকে এফডিআর করেন। তবে ৫ নম্বর আসামি সমিতির ক্যাশিয়ার ইসতিয়াকের মাধ্যমে অন্যান্য
আসামিরা বাকি ৭৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এড. সাইফুল ও এড. ইকবালের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা : খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫৬) ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. কে এম ইকবাল হোসেন (৫৬)-এর বিরুদ্ধে ৯ লক্ষ টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের হয়েছে। জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সদস্য সচিব এড. শেখ নুরুল হাসান রুবা বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিদ্বয় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে একতরফা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করে আইনজীবী সমিতি পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন। আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মৃত্যুর পর তার পরিবারের সহায়তার জন্য সমিতির সদস্য কল্যাণ তহবিল থেকে গঠনতন্ত্রের স্লাব অনুযায়ী তাদের পরিবারের কল্যানণর্থে মৃত ব্যক্তির ওয়ারেশদের প্রদান করা হয়ে থাকে। ২০২১ সালের ১৫ জুলাই এড. মোঃ আব্দুল মাজেদ মৃত্যুবরণ করেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মরহুম আব্দুল মাজেদ-এর ৯ লক্ষ টাকা পাওনা হয়। খুলনা আইনজীবী সমিতির ভাউচার, ক্যাশ বুক ও লেজার খাতায় দেখা যায় ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর আব্দুল মাজেদের ওয়ারেশদেরকে কল্যাণ তহবিলের ৯ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মরহুম আব্দুল মাজেদ-এর ওয়ারেশদের কোন টাকা পরিশোধ হয়নি। জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আসামিরা টাকা আত্মসাৎ করিয়া ভুয়া কাগজ সৃষ্টি করে পরিশোধ দেখানো হয়েছে, কিন্তু চলতি বছরের ৭ অক্টোবর ওয়ারেশদের আবেদনের মাধ্যমে জানা যায় আসামিদ্বয় কল্যাণ তহবিলের কোন টাকা পরিশোধ না করিয়া আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে বিশ্বাস ভঙ্গ করে ৯ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে।
সাইফুলের বিরুদ্ধে শারীরিক লাঞ্ছনার অভিযোগ : জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের পিপি খন্দকার মজিবর রহমানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। খন্দকার মজিবর এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ১৫ মে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতির পাশাপাশি সাবেক সংসদ-সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের কাছে দেওয়া হয়। খন্দকার মজিবর খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকম-লীর সদস্য।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গত বছর ১৪ মে বিভাগীয় স্পেশাল কোর্টে বিশেষ মামলায় আসামি জনৈক অডিটর আলমগীর হোসেনের জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। মজিবর রহমান দুদকের পিপি হিসাবে জামিনের বিরোধিতা করলে অ্যাডভোকেট সাইফুল গং আসামির পক্ষে শুনানিকালে তাকে গালাগাল করতে থাকেন। আদালত এ সময় বিরক্ত হয়ে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এতে সাইফুল গং আরও ক্ষুব্ধ হয়ে মজিবর রহমানকে বাইরে ডেকে নিয়ে আচমকা কিল-চড়, লাথি মারতে থাকেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
অভিযোগপত্রে মজিবর রহমান আরও উল্লেখ করেন, তিনি হার্টের রোগী। তাকে এভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার কারণে তিনি সাংগঠনিক বিচার চেয়েছেন।
হাইকোর্টের তিরস্কার : গত বছর ২২ নভেম্বর অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম খুলনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক (বর্তমানে যুগ্ম জেলা জজ) নির্মলেন্দু দাশের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় সাইফুল ইসলামসহ তিন আইনজীবীকে তিরস্কার করেছিলেন হাইকোর্ট। সেসময় আদালত তাকে বলেছিলেন, আপনি শুধু আইনজীবী সমাজের কলঙ্ক নন, আপনি খুলনার কলঙ্ক। আপনি বিচারকের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তা কোনো সভ্য সমাজের মানুষ করতে পারে না। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button