বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এবং আমাদের দেশের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সবাইকে গাছ লাগাতে হবে : অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# দৌলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর বৃক্ষরোপণ ও চারাগাছ বিতরণ #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ‘গাছ লাগান, দেশ বাচান’। ‘গাছে গাছে দেশ, আমার সোনার বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আমরা খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার পতিত সব স্থানে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি শুরু করেছি। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এবং আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সবাইকে গাছ লাগাতে হবে। গাছ শুধু আমাদের পুষ্টিই প্রদান করবে না, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, মানুষের কল্যাণে ও পরিবেশের সাম্য রক্ষায় ছোট ছোট উদ্যোগই বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। তাই জামায়াতে ইসলামী শুধু রাজনীতি নয়, সমাজ বিনির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সপ্তাহব্যাপী এ গাছ বিতরণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা মানুষের মনে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই-পরিবেশ বাঁচলে, মানুষ বাঁচবে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচি আরও বিস্তৃত হবে ইনশাআল্লাহ। সবুজ নগরী গড়ার জন্য গাছ রোপণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবাইকে পরিবেশ রক্ষা ও গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহিত করতে এই চারাগাছ বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী আয়োজন করা হয়েছে। দৌলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় পাবলা সবুজ সংঘ মাঠে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদ্বোধন ও চারাগাছ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
দৌলতপুর থানা আমীর মু. মুশাররফ আনসারীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন আলমগীর এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, দৌলতপুর থানার সাবেক আমীর অধ্যাপক আলফিদা হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগরী সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুজ্জামান, পাবলা সবুজ সংঘ মসজিদের সভাপতি এইচ এ রহিম। অন্যান্যদের মধ্যে দৌলতপুর থানা সহকারী সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন পারভেজ, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান, হাসানুজ্জামান, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, আমিনুল ইসলাম, খোরশেদ আনোয়ার বিরাজ, ইবাদত হোসেন, মিজানুর রহমান, নিজাম উদ্দিন, আল হাফিজ সোহাগ, খান মাহবুবুর রহমান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরী আমীর আরও বলেন, আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে। এই অবস্থায় এই পরিবেশকে বাসযোগ্য করার জন্য আমাদের প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগানো উচিত। যদি আমরা গাছ বেশি বেশি লাগাই, নিজের আঙিনায় হোক, নিজের জমিতেই হোক, আবাসস্থলেই হোক, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করে যেতে পারব। তিনি আরও বলেন, আমরা গাছ কাটব, এতে কোনো সমস্যা নেই, তবে একটি গাছ কাটলে আমি ১০টি গাছ লাগাবো। আমি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শহরটি বসবাসযোগ্য করে তুলব। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই নীতিকে সামনে নিয়ে, এই পরিবেশটাকে রক্ষা করার জন্য, আজকে চারাগাছ বিতরণ করছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ চরমভাবে বিপর্যস্থ। সুতরাং প্রাকৃতিক জলবায়ু সুরক্ষা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। তিনি সবুজ পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে একটি করে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর আহবান জানান।