তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে: তুহিন

শিববাড়ি কালিমন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে মতবিনিময়
।। খবর বিজ্ঞপ্তি।।
আগামীর নতুন বাংলাদেশ তারেক রহমানের নেতৃত্বে গড়ে উঠবে। তার দেওয়া ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করবে উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে যখন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান শুরু হয় তিনি তখন লন্ডন থেকে নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তার দিকনির্দেশনায় ছাত্র, জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেন। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে লেজ গুটিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর শিববাড়ি মোড়ে শ্রী শ্রী কালী মন্দিরের সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, নিজ ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি আস্থাশীল থাকলেও চিন্তা ও চেতনায় ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। তার শাসন আমলে এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল অহংকার করার মতো। তিনি মসজিদ মাদ্রাসার পাশাপাশি মঠ-মন্দির, গির্জা প্রতিষ্ঠা করে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। জিয়া ধর্মীয় পরিচয়ে নয়, বাংলাদেশি হিসেবে সবার স্ব-স্ব ধর্ম পালনের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছিলেন উল্লেখ কওে তুহিন বলেন, খুলনায় সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রয়েছে। আমরা হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খৃষ্ট্রাণসহ সকল সস্প্রদায়ের লোকজন একে অপরের ভাই-ভাই। কেউ আমাদের সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীর সব ধর্মই সাম্য, মানবতা, ভ্রাতৃত্ব আর ভালোবাসার কথা বলে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ অত্যন্ত সুদৃঢ়। হাজার বছর ধরেই এই অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য দৃঢ়ভাবে রক্ষা করে আসছে। তুহিন আরো বলেন, ৭১ এবং ’২৪ এর পরাজিত শক্তি গোপনে গোপনে প্রেম করে আবারও বাংলাদেশের ভিতরে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ‘৭১ ও ২৪ এর পরাজিত শক্তি এক হয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একাকার হয়েছে। তারা নির্বাচন চায় না। আসছে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জনমনে যখন নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে, তখনই ভোট বিলম্বিত করতে একটি চক্র নতুন করে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। ৭১-এর পরাজিত শত্রুরাই দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে, সংকট আর সংগ্রামের মুহূর্তে জাতির সামনে আলোর পথ দেখিয়েছে যে পরিবারটি, তাঁরা হলো জিয়া পরিবার। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী রাষ্ট্র পুনর্গঠন হোক কিংবা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র রক্ষায় আপসহীন সংগ্রাম-এই পরিবার বারবার হয়ে উঠেছে জাতির নির্ভরতার প্রতীক। সেই ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার আজ বহন করছেন তারেক রহমান।
মন্দিরের সভাপতি বাবু মহাদেব সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, মানিক সাহা, গোপাল কৃষ্ণ শিব, সুজয় সাহা, রতন সাহা সহ অনেকে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু সুকুমার সাহা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রিচার্ড রানা বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ সাহা (কালিপদ), দিপক সাহা, রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্ম, প্রদীপ সাহা, মহাদেব সাহা, গোবিন্দ সাহা, বিমল সাহা, বাপ্পা সাহা, গোপাল সাহা, মধুমঙ্গল সিকদার, রতন সাহা, পলাশ পাল, বিজয় সাহা, লিটন সাহা, পলাশ সাহা, মানিক সাহা, প্রসেন সাহা, খোকন কর্মকার, বিপ্লব সাহা, শেখ ফারুক হোসেন, মুসা হোসেন খান, শেখ আজিজুর রহমান, মোঃ সাইফুল ইসলাম, ইয়াসিন মোল্লা, নুর হোসেন বাদল, তরিকুল ইসলাম ওয়াসিম, কামরুন নাহার হেনা, মুন্নি জামান, সোনিয়া খান, শাহিদা আক্তার, মোঃ মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
২০নং ওয়ার্ডে মতবিনিময়: এদিকে বিকাল ৪টায় নগরীর ২০নং ওয়ার্ডে মা-বোনদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বেগম রেহেনা ঈসা, হাফিজুর রহমান মনি, মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, জাকির ইকবাল বাপ্পি। শেখ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং আবু ওয়ারার পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সালেহা বেগম, রুবিনা, সুমি, সীমা, রেবা, রেহানা, মুক্তা আক্তার, রোশনি, কামরুন নাহার হেনা, হাসিনা বেগম, রিক্তা, ফাতেমা বেগম, তারা , বেবি, রোশিদা, আসমা, মিরা , রশ্মি, লিপি, বেবী পারভীন, আসমা খাতুন, রুমা, রোকসানা, মমতাজ, নাসিমা, সুন্নি, মাসুমা আক্তার, সুমাইয়া, দীপা আক্তার, সালেহা, বক্কার মীর, গাজী নুর মোহাম্মদ, এনামুল কবির, শফিকুল ইসলাম, মোল্লা মিজান, আবুল কালাম, আহসান হাবিব বাবু, হেলাল ফারাজি, আমিন হোসেন মিঠু, মাসুদ পারভেজ বাবু, মো. আতিয়ার রহমান, মো. ইয়াসিন আরাফাত, গাজী আতিকুর রহমান, মোঃ হারুনুর রশিদ, বাবুল তালুকদার, লাভলু খন্দকার, রিপন সিকদার, গোলাম রসূল রনি, ডা. ছোট্টু, মোহাম্মদ গাউস, মো. মনিরুজ্জামান, খলিলুর রহমান, নূরে আলম রিপন, আজাদ খান, ফয়েজ আহমেদ রাশেদ, অহিদ মুরাদ রাজা, মো. লালু, মহিবুর রহমান, জনি প্রমুখ।