আ’লীগের মত স্বৈরাচারি চরিত্র হলে বিএনপি ১৫ দিনও ক্ষমতায় টিকতে পারবে না

# খুলনায় মুক্তিযোদ্ধা দলের সভায় মেজর (অব) হাফিজ #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আ’লীগ ছিল স্বৈরাচার সরকার। তাদের আচরণে তারা এ খ্যাতি লাভ করে। স্বৈরাচার হয়েও তারা দেশ শাসন করেছে ১৫ বছর। গণতান্ত্রিক মুক্তি মানুষ এ স্বৈরাচার সরকারকে হঠাতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়। এমনভাবে তাদের পতন হয়েছে যে তাদের অনুগত মসজিদের ইমাম, প্রধান বিচারপতিসহ দলবল সকলে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের মত যদি বিএনপি আচরণ করে তাহলে বিএনপির ১৫ দিনও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। এ জন্য বিএনপির প্রতি নেতা কর্মীকে মানবিক মর্যাদা সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। মানুষের সুখে দুখে তাদের পাশে গিয়ে দাড়াতে হবে। আ’লীগ দেশের গণতন্ত্রণকে গলা টিপে হত্যা করেছে। কোন দল এককভাবে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী হিসেবে দাবি করতে পারবে না। গণতান্ত্রিকমনা মানুষগুলো ছাত্র-জনতা-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ একহয়ে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে। তারা গণঅভ্যুত্থান করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, তিনি তারেক রহমানের সাথে লন্ডনে বৈঠক করে যে ওয়াদা দিয়েছিলেন তা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন। সেই ঘোষণা মতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর পুরো দেশ এখণ নির্বাচন মুখী হয়ে পড়েছে। শুধু একটি দল যারা কখনও ক্ষমতায় আসতে পারবে না তারা নানা অজুহাতে নির্বাচন পিছানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, পুলিশ ছিল এই গণহত্যাকারী আ’লীগের পোষ্য গুন্ডা বাহিনী। এদের সবাইকে চাকুরি চ্যুৎ করে সেখানে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা ও তাদের স্বজনদেন নিয়োগ দেয়া হলে দেশের আইন শৃংখলা উন্নতি হবে। তা না হলে ফ্যাসিস্ট সরকারের পোষ্য বাহিনী এই পুলিশ কখনই দেশের জন্য কাজ করবে না। শনিবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাব ব্যাংকুয়েট হলে ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহিদ জিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা এই সভার আয়োজন করে। একাত্তরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন লুঙ্গি ও গামছা পরা খেটে খাওয়া অসহায় বাঙালি। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেখলাম, বড়লোকের ছেলেরা মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় নিয়ে নিয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু এবং খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল আলম তুহিন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল খুলনা মহানগরের সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেন।