গাছের অভাবে যেভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়; মানবিক নেতৃত্বের অভাবে রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট হয় : অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# খালিশপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং নগরবাসীকে নিরাপদ বাতাসের ছায়াতলে রাখার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী প্রতি বছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এবছরও সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। একটি গাছ কাটার আগে ৫টি গাছ রোপণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকৃতির প্রতিশোধ ভয়াবহ। গাছ কেটে নতুন করে গাছ না রোপণ করলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে। তিনি আরও বলেন, গাছের অভাবে যেভাবে পরিবেশ নষ্ট হয়, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়; সৎ, দক্ষ ও নৈতিক মানবিক নেতৃত্বের অভাবে রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে পুরো সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ নেতৃত্বকে বয়কট করে সৎ, দক্ষ ও নৈতিক আদর্শিক নেতৃত্বকে নির্বাচিত করতে হবে। তবে সমাজ আলোকিত হবে। তিনি পরস্পর শিষ্টাচার বজায় রেখে রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। রোববার (১০ আগস্ট) সকালে খালিশপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খালিশপুর থানা সেক্রেটারি মু. আব্দুল আউয়াল, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহিম ও মাওলানা আব্দুল জলিল, অফিস সেক্রেটারি কাজী বায়েজিদ, থানা যুব সেক্রেটারি মাঞ্জারুল ইসলাম, ১২ নং ওয়ার্ড আমীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, ১০ নং ওয়ার্ড আমীর গাজী দেলোয়ার হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা আসাদুজ্জামানসহ থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সেক্রেটারি ও ইউনিট সভাপতি, সেক্রেটারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় মহানগরী আমীর ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করেন। পরে উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতের গাছ বিতরণ করা হয়।
মহানগরী আমীর বলেন, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে বৃক্ষরোপণ ও তার যথাযথ সংরক্ষণের কোনও বিকল্প নেই। কারণ বৃক্ষ নিধন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশের বিপর্যয়ের কারণে উপকূলীয় এ অঞ্চল দিনে দিনে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়তে পারে। গাছ রোপণ ও চাষাবাদের ব্যাপক গুরুত্বের ব্যাপারে হাদীসের উদ্বৃতিসমূহ তুলে ধরেন, রাসূল (সা.) বলেন, বৃক্ষ রোপণের পর যে ফল হবে তা যদি মানুষ ও পশু, পাখি ভক্ষণ করে তবে তা যে রোপণ করেছে তাঁর সাদকায়ে জারিয়া হবে। কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের সকলের উচিৎ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বেশি বেশি গাছ লাগানো। তাই আসুন আমরা সবাই অন্তত একটি গাছ রোপণ করি আর দু’টি গাছ বিতরণ করি।
বৃক্ষরোপনের উপর গুরুত্বারোপ করে মহানগরী আমীর বলেন, বৃক্ষ আমাদের শুধু অক্সিজেন দেয় না, এটি একটি বরকতময় দান। প্রতিটি গাছ লাগানো সদকার সমান। পরিবেশ রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মানব জীবনে গাছের অবদান অনস্বীকার্য। আমাদের নতুন প্রজন্মকে প্রাথমিক স্তর থেকেই গাছের যতœ ও ভালোবাসা শেখাতে হবে। পরিবেশকে ঠিক রাখার জন্য আমাদেরকে কমপক্ষে একটি করে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণে উন্নত বিশ্বকে আরো সচেতন হতে হবে, পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোকে বিশ্বের পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে দ্বিচারিতা পরিহার করতে হবে। পতিত জমি, মন্দির, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, কলেজ মাঠ ও ছাদে বৃক্ষরোপণ করতে মহানগরী ও শহরের সকল নাগরিক সহ জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তিদেরকে আহবান জানান।