স্থানীয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫০

প্রবাহ রির্পোট: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র করে দুই দফায় মারামারি সংঘটিত হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, গেলো ১১ আগস্ট (সোমবার) সন্ধ্যায় জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বাজারের বটতলায় ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি করার জন্য সভা আহ্বান করা হয়। একপর্যায়ে কমিটির পদ নিয়ে আমিরুল ইসলাম ও আব্দুল মতিনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। মারামারির ঘটনায় উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে, ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উভয়পক্ষের আনুমানিক শতাধিক লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারি হয়। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। জামালগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম উদ্দীন বলেন, কমিটির নাম প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে কামরুল ইসলাম ও আব্দুল মতিনের মধ্যে কথা-কাটাকাটির সূত্র ধরে মারামারি হয়। পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। গত মঙ্গলবার উপজেলা বিএনপির সঙ্গে আমাদের মিটিং চলাকালীন সময়ে আবারও মারামারির খবর পাই। তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো. বশির আহমদ জানান, জামালগঞ্জ উপজেলা নেতৃবৃন্দ উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করবেন। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার বলেন, আমি কমিটি গঠনের সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। নাম প্রস্তাব নিয়ে আমিরুল ইসলাম ওমির ও আব্দুল মতিনের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। উপস্থিত নেতৃবৃন্দসহ আমি তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। গত মঙ্গলবার আবারও উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘটিত হয়েছে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান বলেন, মারামারির খবর শুনে উপজেলার নেতৃবৃন্দসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। উপজেলা কমিটি মারামারির ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় কেউ লিপ্ত থাকার প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জামালগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক শরিয়ত উল্লাহ জানান, মারামারির ঘটনায় গুরতর আহত ২০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সামান্য আহত ৩৫ জন জামালগঞ্জ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। জামালগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মারামারি সংঘটিত হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক জামালগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মারামারি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button