স্থানীয় সংবাদ

নগরীতে বাইকে উচ্চ শব্দের সাইলেন্সার পাইপ

# উঠতি বয়সী কিশোরদের দৌরাতœ্য কমছেনা #

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনা মহানগরীতে সড়কে চলাচলের সময়ে দেখা যায় হঠাৎ বিকট শব্দে মোটর বাইকের বেপরোয়া গতির ভেলকিবাজি। মোটর বাইকের সাইলেন্সারে হলার লাগিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে দ্রুত গতিতে শব্দ তৈরি করে সটকে পড়ছে এসব উঠতি বয়সী করুণ কিশোরেরা। এতটা বিকট উচ্চ শব্দ তৈরি করে যেন এ কিলোমিটার দুর পযন্ত শব্দ শোনা যায় আর দৃষ্টি চলে কোথায় এই শব্দ তৈরি হচ্ছে। এতে করে হচ্ছে অসস্তিকর পরিবেশও পথচারি সহ অন্যান সাধারণ মানুষেরা হঠাৎ আতংক হয়ে পড়ছে এমনকি বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুকি। নগরীর বিভিন্ন মোটর গ্যারেজে অর্থের বিনিময়ে এসব মোটর বাইক গুলো মোডিফাই করে রুপান্তর করছে উচ্চ শব্দে।বিশেষ করে নগরীর নিউমার্কেট,শিববাড়ী মোড় সোনাডাঙ্গা, খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল এলাকা, দেখা এসব উচ্চ শব্দের বাইকের দৌরাত্ম।সহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়।এ বিষয়ে কথা সচেতন নাগরীক মোঃ সোহেল রানার সাথে তিনি বলেন, প্রায় সময় শোনা যায় বিকট শব্দের মোটর বাইক শব্দ।আমরা অনেক সময়ে আতকে উঠি কি হচ্ছে। এসব মানুষিক সমস্যা। উঠতি বয়সি এসব তরুণদের উৎসাহ দিচ্ছে অর্থলোভি কতিপয় গ্যারেজ মালিকেরা। তারা এসব পদ্থতি তৈরি করছে। এর জন্য প্রয়োজন পুলিশের কঠোর নজরদারি। এদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত। পাশাপাশি প্রতিটা অভিবাভক মহলদের সচেতন থাকতে হবে।তার সন্তানেরা কি করছে এসব দিক নজর দিতে হবে।একই কথা বলেন তরিকুল ইসলাম নামের এক পথচারী তিনি বলেন, বিশেষ করে রাত্রে বেলায় এসব মোটর বাইকের বিচরণ দেখা যায়। দিনের বেলায় দেখা যায় একটু কম। এ বিষয়ে খুলনা ট্রাফিক বিভাগের ডিসি সুদর্শন কুমার রায় বলেন, আমরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫টির মত সপ্ট রয়েছে যেখানে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা চেকপোস্ট করছে। আমরা এর আগে এধরনের উচ্চ শব্দের মোটর বাইক আটক করেছি। এমনকি মামলা দিয়েছি। পাাশাপাশি থানা পুলিশ ও অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়া যৌথবাহিনির সাথে আমরা দায়িত্ব পালন করছি।এছাড়া আমি নগরবাসীদের বলব এধরনের কোন বাইক চোখে পড়লে আম,াদের অবগত করবে। আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে ব্যবস্থা নিব। আমরা বিষয়টি নজরে রাখছি। এবিষয়ে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শেখ আবু শাহীন বলেন, উচ্চ শব্দের কারণে জন্য যাদের হৃদরোগজনিত সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে এসব শব্দে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হঠাৎ করে এসব বিকট শব্দে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে আবার কমে যেতে পারে। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে স্ট্রোক হতে পারে।উচ্চ শব্দের কারণে মানুষের শ্রবণ শক্তির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। শব্দের পরিমাণ ৬০ ডেসিবেল হলে মানুষ বিরক্ত হয়। অন্যদিকে শব্দের পরিমাণ ৯০ ডেসিবেল হলে মানুষের উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয়। কানের সঙ্গে মস্তিষ্ক সংযোগস্থলে আঘাত আসে। যার ফলে মানুষের স্মৃতিশক্তিতে সমস্যা, শারীরিক নানাবিধ সমস্যাসহ বধির হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button