দৌলতপুরে গাড়ি চাপায় গুরুতর আহত পথ বিড়ালের পাশে দাঁড়ালেন পশুপ্রেমিক হাসান

# মানবিক দৃষ্টান্ত===
স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনার দৌলতপুরের বিএল কলেজ রোডে গাড়িচাপায় গুরুতর আহত হয় একটি পথ বিড়াল। দুর্ঘটনায় তার একটি পাজরের হাড় ভেঙে বের হয়ে পড়ে। গত সোমবার বিষয়টি পশুপ্রেমিক হাসান চৌধুরীর চোখে পড়ে। তিনি তখনই বিড়ালকে উদ্ধার করে দৌলতপুর ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যান। দৌলতপুর ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে খুলনা ভেটোনারি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। খুলনা থেকে আবার ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু দীর্ঘ যাত্রায় বিড়ালের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে ভেবে সাংবাদিক হাসান তাকে ফের দৌলতপুর ভেটোনারি হাসপাতালে ফিরিয়ে আনেন। শেষ পর্যন্ত দৌলতপুর ভেটেরিনারির অভিজ্ঞ সার্জন ডা. শাহাদাতের হাতে জটিল অস্ত্রোপ্রচার সম্পন্ন হয়। অপারেশন সফল হওয়ায় আহত বিড়ালের প্রাণ বেঁচে যায়। এখন সাংবাদিক হাসানের নিজ বাড়িতে তার মামনি সাবিহা-সাদিয়া বিড়ালটির চলছে সেবাযতœ। প্রতিদিন ভালোবাসা ও যতেœ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে অবলা প্রাণী বিড়ালটি। এলাকাবাসীর অনেকে সাংবাদিক হাসানের এই মানবিক উদ্যোগ ও ডা. শাহাদাতের পেশাদারিত্বকে প্রাণ বাঁচানোর এক অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। মানুষের ব্যস্ত শহুরে জীবনে পথপ্রাণীদের প্রতি এমন সহানুভূতি ও উদ্যোগ যে সমাজকে আরও মানবিক করে তুলতে পারে-এই ঘটনাই তার প্রমাণ। হাসান চৌধুরি বলেন, তিনি আহত বিড়ালের পাজরের একটি হাড় ভেঙ্গে বের হয়ে গেছে দেখেন। এ সময় তিনি বিড়ালকে সাধারণ পোশাকে প্রথমে দৌলতপুর পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। তারা বিষয়টি দেখে খুলনা পাওয়ার হাউজমোড়ে পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে পরামর্শ দেন। সে মতে তিনি সাধারণ পোশাকেই পাওয়ার হাইজমোড়ে পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। এ সময় চিকিৎসা কেন্দ্রে কর্তব্যরতদের চরম অবহেলায় তিনি ক্ষুব্দ হয়ে যান। পরে অবশ্য পরিচয় পাওয়ার পর হাসপাতালের লোকজন নড়েচড়ে বসেন। পরে তিনি আহত বিড়ালকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবারো দৌলতপুর পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে বিড়ালের অপারেশন করা হয়। এখন দিব্বি বিড়ালটি স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছে। তিনি এই বিড়াল চিকিৎসা করাতে পুরো তিন ঘন্টা ছুটাছুটি করেন বলে জানান।