খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে ঠোকানো যাচ্ছেনা চোরের উপদ্রব ২৯টি এসির কপার পাইপ চুরি

# চুরির আগের দিন রহস্যজনকভাবে একাধিক সিসি ক্যামেরা বিকল
শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে যেন চুরির হিড়িক পড়েছে। প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু চুরি হচ্ছে হাসপাতালটিতে। গেল দুদিন সরকারী ছুটি শুক্র ও শনিবার হাসপাতালটি বন্ধ থাকায় এবার ২৯টি এসির কপার পাইপ চুরি করেছে চোর চক্র। এসব কপার পাইপগুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় দুই লাখ টাকা। এর এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালটির বর্জ্য পরিশোধন মেশিনের প্রায় ৫০ মিটার মোটা তামার তার চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এ দিকে চুরির ঘটনার পর স্থানীয় থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ দিকে চুরির আগের দিন হঠাৎ হাসপাতালটিতে নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা সিসি ক্যামেরার প্রায় ২২ টি ক্যামেরা এক যোগে বিকল হয়ে যায়। এতে করে ধারণা করা হচ্ছে যে পরিকল্পনা করে এসব তারগুলো চুরি করেছে চোর চক্র। আর যেন সিসি ক্যামেরা চোরকে সনাক্ত করা না যায় এজন্য হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এসব ক্যামেরা এমনটি মনে করছেন সচেতন মহল। এছাড়া প্রায় সময় বহির্বিভাগে আগত চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশি রোগীদের মোবাইল, টাকার ব্যাগ চুরির ঘঠনা ঘটে প্রায় সময়। মাঝের মধ্যে চোর আটক করা হলেও হঠাৎ এত গুলো এসির কপার পাইপ চুরির ঘটনা নিয়ে আতঙ্ক যেন কাটছেনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর। এ বিষয়ে হাসপাতালটি পরিচালক ডাঃ শেখ আবু শাহীন বলেন, গেল দুদিন সরকারী ও সপ্তাহিক বন্ধ থাকায় চোরেরা চুরি করেছে। আমি খুব সকালে অফিসে আসি এসে দেখি আমার রুমের এসি কাজ করছেনা। এরপর জানতে পারি চোরেরা হাসপাতালটির ভিতর থেকে মোট ২৯টি এসির কপার পাইপ চুরি করে নিয়ে গেছে। যার মধ্যে আমার রুমের মোট দুটি পাইপ, ৩য় তলা কনফারেন্স রুমের ৫টি, সিটি স্ক্যান রুমের রুমের ২টি, এমআরআই রুমের ১টি, ইলেকট্রিক্যাল সাবস্টেসন থেকে ১টি, ও প্যাথলজির সামনে ১৪২, ১৪৩ রুমের ২টি, অপারেশন থিয়েটার থেকে ১টি, ইসিজি রুমের ১টি, নার্সিং সুপার ভাইজার রুমের ২টি, হোমোডায়ালাইসস ইউনিট থেকে ৯টি, ব্লাড ব্যাংক থেকে থেকে ১টি, হাসপাতালটির ৫ম তলায় কেবিন থেকে ২টি, অন্যান্য জায়গায় ও চুরি হয়। এছাড়া হাসপাতালটিতে নিরাপত্তার জন্য মোট ১৩ জন আনসার সদস্যরা আছেন। যারা পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করে। চুরির কারণে হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে, কখন কিভাবে চুরি হলো এ বিষয়ে কিছ বলা যাচ্ছেনা। আমরা খালিশপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেছি। পুলিশ এসছে তদন্ত করছে। এ বিষয়ে খালিশপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিক বলেন, আমি নিজেই ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। এখনও মামলা হয়নি। তদন্ত চলছে কিভাবে চুরি হলো। চোর চক্র ধরার জন্য একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত এসব চোর চক্রকে আইনের আওতায় আনা হবে।