একটি চা দোকানে এক মাসের বিল করেছে ৩ লক্ষাধিক টাকা

# বাগেরহাটের পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা #
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের ফকিরহাটে একজন চা দোকানির নামে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে ৩ লাখ ১ হাজার ৭৪৬ টাকা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এ ধরনের উদাসিনতায় হতবাক হয়ে পড়েছেন দরিদ্র ওই চা দোকানি ও তার পরিবার। যা নিয়ে গোটা বাগেরহাটে চাঞ্চল্যেরও সৃষ্টি হয়েছে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি বিলিং সহকারীর ভুল, যা সংশোধন করা হয়েছে। ঘটনা বিষয়ে জানা গেছে, ফকিরহাট উপজেলার লখপুর বাজারে এক কক্ষে দোকান দিয়ে চা-পান বিক্রি করেন অপূর্ব কুন্ডু। পিতা মারা যাওয়ার পর মা তপতী রানী কুন্ডুর সঙ্গে দোকানটি তিনি পরিচালনা করছেন। দোকানে রয়েছে দুটি বাল্ব, একটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ। এতে প্রতিমাসে সাধারণত বিল আসে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মতো । জুলাই মাসে হঠাৎ এত বিপুল অঙ্কের বিল হাতে পেয়ে হতবাক হয়ে যান তারা। অপূর্ব কুন্ডু বলেন, ‘এর আগের মাসেও বিল এসেছিল ১ হাজার ৮৭৬ টাকা। পরে অফিসে গিয়ে সংশোধন করে ৩১৬ টাকা করা হয়। এবার আবারো বিল হাতে পেয়ে দেখি ৩ লাখ টাকার বেশি। পরিবারের সবাই হতভম্ব হয়ে যাই।এমন ভুতুরে বিল শুধু তার নয়, লখপুর এলাকার আরও অনেক গ্রাহকের ক্ষেত্রেও ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব গ্রাহকদের অভিযোগ মিটার রিডিং না দেখে বিল তৈরি এবং পল্লী বিদ্যুতের অবহেলাতেই এ ভোগান্তি। বাগেরহাট ফকিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনন্দ কুমার কুন্ডু বলেন, ‘বিলিং সহকারীর ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে ওই সহকারীকে শোকজ করা হয়েছে। সংশোধন করে প্রকৃত বিল ৩১০ টাকা করে দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর গ্রামের এক চা দোকানির নামে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকার বিল করা হয়েছিল, যার প্রকৃত বিল ছিল মাত্র ১৬২ টাকা।