খুলনার আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি মিজান নতুন মামলায় কারাগারে

চাঁদাবাজি ও ভাংচুরের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ
খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত সিএমএম আদালতের বিচারক মো. আনিসুর রহমান এ নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় কারাগারের ফটকের সামনে থেকে তাকে তুলে নেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে রয়্যাল মোড়ের ফ্যাশন জোন বাই লিন্ডায় হামলার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি রয়্যাল মোড়ে ফ্যাশন জোন বাই লিন্ডায় প্রবেশ করে এই মামলার আসামিরা চাঁদা দাবি করে। এ সময় আসামি রিক্তা পারভীন দোকানের কর্মচারী আলভী হাসান নোভাকে উদ্দেশ করে ৫ লাখ টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। চাঁদা না দেওয়ায় আসামিরা অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখায়। এরপর ১ ও ২ নম্বর আসামি দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ২ লাখ টাকা লুট করে, আর ৩–৭ নম্বর আসামি ও সন্দিগ্ধ গ্রেপ্তার আসামি মিজানুর রহমান মিজানসহ অন্যান্য আসামি দোকান থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকার কসমেটিকস ও ড্রেস লুট করে নেয়। যাওয়ার সময় তারা ঘটনাস্থলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে দোকান মালিক বাদী হয়ে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ বছরের ৩০ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ তাকে ৮ বছরের কারাদ- দেন। তার বিরুদ্ধে খুলনার বিভিন্ন থানায় আরও ৪টি মামলা রয়েছে। গত বছরের ২৮ জুলাই একদফা আন্দোলন চলাকালে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট মামলায় তাকে ২৯ মে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সর্বশেষ বুধবার চারটি মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তি পেলেও কারাগারের ফটক থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার হন সাবেক সংসদ মিজানুর রহমান মিজান।