কেসিসি এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন নির্বাচনী প্রচারণা শুরু কল্যাণ তহবিলের টাকা আতœসাতকারীচক্রকে ছাড় নয়

# ১৯টি পদের বিপরিতে ৪১জন প্রার্থী ভোটের মাঠে #
স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনা সিটি কর্পোরেশন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের দ্বি বার্ষিক নির্বাচন আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী গতকাল ছিল চূড়ান্ত ৪১জন প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দের দিন। সে মতে, ১৯টি পদের বিপরিতে ৪১জন প্রার্থীর মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়। এদিকে এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঝে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। প্রার্থীদের প্যানায় প্যানায় ছেয়ে গেছে নগরভবনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড অফিস। যারা বিগত দিনে ক্ষমতায় থেকে ইউনিয়নের কল্যাণ তহবিলের লাখ লাখ টাকা আতœসাৎ করেছে। সে ব্যাপারে ভোটারদের আলোচনা তুঙ্গে। এবার ভোটাররা কল্যাণ তহবিলের টাকা আতœসাৎকারী ও তাদের সহযোগিদের ভোট না দেয়ার জন্য আহবান জানিয়েছে। বিষয়টি টাকা আতœসাৎকারী ও তাদের সহযোগিদের করছে বিভ্রত। তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা হলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেসিসি কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জল কুমার সাহা, নির্বাচন কমিশনার নাজমুল হক মুকুল ও নির্বাচন কমিশন সদস্য লাইসেন্স অফিসার (ট্রেড) খান হাবিবুর রহমান। এবার ভোটার ৪৪১ জন। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী গতকাল ১৯টি পদের বিপরিতে ৪১ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে সভাপতি পদে ৪জন। তারা হলেন, কাজী গোলাম মোস্তফা-প্রতিক চেয়ার, মোঃ শাহাজাহান-প্রতিক বাই সাইকেল, মনির হোসেন মৃধা-প্রতিক ছাতা ও আঃ হক-প্রতিক আনারস। কার্যকরী সভাপতি পদে ২জন। তারা হলেন, ইসমাইল গাজী-প্রতিক গরুর গাড়ী ও হালিম সরদার- প্রতিক-বাঘ। ২টি সহ-সভাপতি পদে ৪জন প্রার্থী, তারা হলেন, আবুল কালাম-দোয়াত কলম, আঃ জলিল-ডাব, ইউসুফ আলী হাওলাদার-চাঁদ ও সালাম মৃধা-মটর সাইকেল। সাঃ সম্পাদক পদে ২জন প্রার্থী। তারা হলেন, আশরাফুল ইসলাম-প্রতিক-হরিণ ও সায়েদ হোসেন লিটন-প্রতিক-মই। যুগ্ম সাঃ সম্পাদক পদে ৩ জন, তারা হলেন, আইয়ুব আলী-দেয়াল ঘড়ি, জাফর মল্লিক-ঠেলাগাড়ি ও সাব্বির শেখ বাবু-টেলিভিশন। সহ-সাঃ সম্পাদক পদে ৪জন, তারা হলেন, আমির হোসেন-মোবাইল ফোন, ইউসুফ আলী-আম, খলিল-বই ও ফেলা দাস-হাস। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৪ জন, তারা হলেন, আশিকুর রহমান-প্রজাপতি, নজরুল ইসলাম-টিয়া পাখি, পলাশ ফরহাদ-মোড়গ ও রিপন হক- টিউবওয়েল। কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন, তারা হলেন, আবু জাফর মুন্না-আপেল ও রিয়াজ হাওলাদার-কোদাল। সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে ২জন, তারা হলেন, আল আমিন-ময়ূর ও সোহেল হোসেন-গোলাপ ফুল। প্রচার সম্পাদক পদে ২ জন, তারা হলেন, ইসমাইল মোল্লা-মাছ ও বারেক গাজী-মাইক। সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে ২ জন, তারা হলেন, আঃ সালাম হাওলাদার-টেবিল ফ্যান ও হাফিজুর রহমান-ব্যাট বল। মহিলা সম্পাদিকা পদে ২জন, তারা হলেন, মমতাজ বেগম-প্রতিক-কাপ প্রিস ও ফাতেমা বেগম বিউটি-প্রতিক- কলস। দপ্তর সম্পাদক পদে ২ জন। তারা হলেন, জামাল হাওলাদার-রেডিও ও শুকুর মোল্লা-বেলচা। সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে ২জন, তারা হলেন, গৌতম হেলা-হাতুড়ি ও হেলাল উদ্দীন সোহাগ- টেলিফোন। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে ২জন, তারা হলেন, আসলাম গাজী-মিনার ও রেজাউল ইসলাম-মোমবাতি। ক্রীড়া সম্পাদক পদে ২ জন, তারা হলেন, কোরবান আলী- র্যাকেট ও জাকির শেখ-ফুটবল। মহিলা সম্পাদিকা পদ প্রার্থী মমতাজ বেগম জানান, তিনি বিগত দিনে ইউনিয়নের ভোট করে নির্বাচিত হয়েছেন। কোন দুর্নীতির সাথে তিনি কখনও আপোস করেননি। ভবিষ্যতেও করবেন না। সহ কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী সোহেল জানান, যারা বিগত দিনে ইউনিয়নের কল্যাণ তহবিলের টাকা আতœসাৎ করেছে তাদেরকে বয়কট করা হবে। উল্লেখ্য, বিগত সোবহান-হক-দুলাল পরিষদ ইউনিয়নের কল্যাণ তহবিলের ১৬ লাখ ২১ হাজার ৭শত টাকা আতœসাত করেছে। সে টাকা ফেরৎ না দিয়ে তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন কি ওই চক্রের কেউ কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা এবার এই দুর্নীতিবাজদের জবাব ভোটের মাধ্যমে দিবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সাঃ সম্পাদক প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জানান। তবে ওই পরিষদের সাঃ সম্পাদক দুলাল হোসেন রাজা বলেন, তারা টাকা আতœসাৎ করেননি। ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ শহিদ এ টাকা আতœসাৎ করেছে। যার মধ্যে ৫ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ফেরৎ দিয়েছে। বাকী টাকা আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে রাজা জানান।



