খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে বকেয়া বেতনের দাবীতে কর্মিবরতি পালন করছে কর্মচারীরা

# দাবি পূরণ না হওয়া পযন্তÍ কর্মসূচি চলবে : কর্মচারীবৃন্দ
স্টাফ রিপোর্টার: দাবি মোদের একটাই বাঁচার জন্য বেতন চাই, এমন প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা এ কর্ম বিরতি কর্মসূচি পালন করছে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের ৮৮ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী। হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মীদের চলতি মাসসহ নয় মাসের বেতন বকেয়া থাকায় কর্মবিরতি পালন করছে। গতকাল রবিবার খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রধান ফটকের সামনে এই কর্ম বিরতি পালন করেন। এমনকি আজ সোমবার ও কর্মবিরতি পালন করার ঘোষনা দিয়েছে এসব কর্মচারীরা। তবে, কর্ম বিরতি পালন করলেও হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। এ দিকে দীর্ঘ নয় মাস বেতন বকেয়া থাকায় এসব আউটসোর্সিং কর্মচারীরা মানবতার জীবনযাপন করছে। নাম প্রকাশ না শর্তে এক আউটসোর্সিং কর্মচারী বলেন, আজ আমরা উপায়হীন হয়ে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে কর্ম বিরতি অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমরা হাসপাতালের পরিচালক সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে গত কয়েকমাস অনেকবার বকেয়া বেতন পরিশোধ করা জন্য ধরনা দিয়েছি। ব্যবস্থা হচ্ছে দিচ্ছি এমন কথা বলে তাদের থামিয়ে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে আমরা পরিবার পরিজনসহ মানবেতর জীবনযাপন করছি। এমনকি গেল দুইটা ঈদে কোন বেতন পাইনি। আমাদের বেতন বকেয়া পরিশোধ না করলে আমরা এই কর্মবিরতি চালিয়ে যাব এখন আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এছাড়া জানাযায় খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গেল ১৮ই নভেম্বর বিভিন্ন পদে ৮৮ জন আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহ জন্য দরপত্র আহ্বান করে যার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রিশিয়ান ১জন, প্লাম্বার ১ জন, জেনারেটর অপারেটর ২জন, মালী ২ জন, লিফটম্যান, ৩ জন, ওয়ার্ড বয় ২৬ জন, আয়া ১৭ জন, টেবিল বয় ২ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মি ২৮ জন, মশালচী ২ জন।
এছাড়া পত্রে উল্লেখ্য করা হয় ৫ই ডিসেম্বর দরপত্র জমা দিতে হবে। এতে করে আগ্রহী ঠিকাদারেরা এই দরপত্রে অংশ গ্রহণ করতে প্রায় ২৬ জন বিভিন্ন নামের কোম্পানি শিডিউল ক্রয় করে। এর মধ্যে শিডিউল জমা দেওয়ার আগের দিন ৪ ই ডিসেম্বর উচ্চ- আদালতে থেকে দরপত্রে সকল কার্যক্রম তিন মাসের জন্য বন্ধের জন্য রিট করে আদেশ জমা দেন এবি এন্টার প্রাই এর পরিচালক আলামিন নামে এক যুবক। এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানাযায় এই মামলাবাজ ছেলেটি পূর্বে ছাত্রলীগের রাজনিতির সাথে জড়িত ছিল। এছাড়া পূর্বের ও বর্তমান ঠিকাদার টিফোর এস এর পরিচালক আওয়ামলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন এর ছেলের খুব কাছে বন্ধু। মূলত এই ঠিকাদারে সাথে যোগ-সাজসে এমনটি করা হয়েছে যেন আউট সোর্সিং জনবল সরবরাহ কাজটি এই ঠিকাদারের আওতায় থাকে । এ দিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টিফোরএস এর পরিচালক গিয়াস এর ব্যবহারিত ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে, কোম্পানির ম্যানেজার তাপস বলেন, আমরা আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার জন্য বেশ কয়েকবার হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও অর্থমন্ত্রানালয়ে যোগাযোগ করেছি তবে, কোন ফলাফল পাইনি আমরা চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শেখ আবু শাহিন বলেন, বিগত টেন্ডারের সময় হাসপাতালের কাজের সংশ্লিষ্ট নয় এমন একজনের আদালতে মামলার কারণে আউটসোর্সিং কর্মীদের বেতন বন্ধ রয়েছে। তাদের বেতন চালু করার জন্য মন্ত্রণালয় সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কয়েক দফা চিঠি দেয়া হয়েছে ।।তবে তাদের বেতন কবে হবে কেউই বলতে পারছিনা।



