মিল কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটি গঠন

# দিঘলিয়ায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ #
# ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ #
দিঘলিয়া প্রতিনিধিঃ
দিঘলিয়ায় স্টার জুট মিলের জনৈক নিরাপত্তা প্রহরী কর্তৃক ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ঘটনায় মিল কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটি গঠন। তদন্ত কমিটির সদস্যদের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন মিল কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর স্টার জুট মিলের নিরাপত্তা প্রহরী জহিরুল ইসলাম (৩৫) ৭ম শ্রেণির জনৈক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় জোর পূর্বক তিনতলা পরিত্যাক্ত কোয়ার্টারের সিঁড়িতে নেওয়া, ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতার মিল কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের, মিল কর্তৃপক্ষ জহিরুলকে সাময়িক বরখাস্ত এবং মিল কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ প্রদান এবং জহিরুলের প্রিভিয়াস রেকর্ড নিয়ে জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর মিলটির প্রকল্প প্রধান নড়েচড়ে বসেছেন। তিনি এ ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটির সদস্যগণ হলেনঃ- (১) মিলের এ্যাডমিন অফিসার আব্দুল জলিল, (২) নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায় এবং (৩) মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা রেজাউল করিম। গঠিত এ তদন্ত কমিটিকে ১০ কর্ম দিবসে তাদের ওপর অর্পিত তদন্ত রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য মিল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ প্রদান করেছেন। এদিকে জহিরুল ইসলাম মিল কর্তৃপক্ষের নিকট তার জবাব লিখিতভাবে পেশ করেছেন। তবে সে কি জবাব দিয়েছেন তা জানা যায় নি।
এক সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণ ঘটনার পর দিঘলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও মামলায় বাদীপক্ষকে নির্দেশনা এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে নানা জনশ্রুতি ছড়িয়েছে। কেউ কেউ বলছে পর্দার আড়ালে থাকা অপরাধ জগতের এক প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য এ জহিরুল ইসলাম। তাকে সেপ করার জন্য মোটা অংকের টাকার লেনদেন হয়েছে পর্দার আড়ালে থেকে। যে কারণে প্রথম থেকে দিঘলিয়া থানা পুলিশের ভূমিকা ছিল নিরব দর্শকের। এ জহিরুলের উল্লেখিত মিলে চাকুরীর পর থেকে একাধিক শ্লীলতাহানি ঘটনা, মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেটসহ খালিশপুর থানায় মামলা ও গ্রেফতার এবং মিল কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত, একাধিক মেয়েকে নানা প্রলোভনে বিবাহ, মিলের মধ্যে ঝগড়াঝাটি ও মারামারি। একজন নিরাপত্তা প্রহরী হয়েও ৬ লাখ টাকার মোটরসাইকেল ব্যবহার ও সম্রাট স্টাইলে চলাচল, অশুভ শক্তির প্রভাবে মিলের অভ্যন্তরে ও বাইরে বহু অপরাধ সংঘটিত করার পরও পার পেয়ে যাওয়া নিয়ে নানা জিজ্ঞাসার জন্ম দিয়েছে জনমনে যা তদন্তের দাবী রাখে।