ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে এখানকার প্রতিটি মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে : মাওলানা আবুল কালাম আজাদ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভীতিকর মনোভাব তৈরি করতে তারাই কাজ করেছে যারা হিন্দুদের ব্যবহার করে ক্ষমতায় গেছে এবং যেতে চায়। অথচ ইসলাম সব মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার নিশ্চিতায় দিয়েছে। তাই বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে এখানকার প্রতিটি মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে। হিন্দুদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয় বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামী কাজ চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা প্রতিটি নাগরিকের জন্যশুধু আইনি দায়িত্ব নয়, এটি একটি নৈতিক ও ধর্মীয় কর্তব্য। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তাদের সাথে মিলেমিশে কাজ করা ইসলামী মূল্যবোধেরই অংশ। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দিনব্যাপী খুলনা-৬ আসনের কয়রা উপজেলার সদরের শুড়িখালি (রামকৃষ্ণ) সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, চান্নিরচক সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, বাঁশখালী সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, গাজিনগর সপ্তগ্রাম সর্বজনীন দূর্গা পূজা মন্দির, শ্রী শ্রী সনাতন ধর্ম মন্দির, ৬ নং কয়রা সর্বজনীন দূর্গা পূজা মন্দির, পূর্বপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, শ্রী শ্রী গোবিন্দ জিউ ঠাকুর মন্দির (৮০ বিঘা), বড় বাড়ি সর্বজনীন দূর্গা পূজা মন্দির, শ্যামখালি, চৌকোনী, ডাঙ্গাপাড়া, কলু খালি, লক্ষীখোলা ও খড়িয়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা পূজা মন্দির সহ বিভিন্ন পূজা মন্দির পরিদর্শনকালে এ সব কথা বলেন।
এ সময় খুলনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার, কয়রা উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা সেখ মো. সাইফুল্যাহ, কয়রা সদর ইউনিয়ন আমীর মো. মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি প্রফেসর মো. নুরুজ্জামান, আমাদি ইউনিয়ন আমীর মাওলানা সাজ্জাদুল ইসলাম, বাগালি ইউনিয়ন আমীর হাফেজ আব্দুল হামিদ, মহেশ্বরপুর ইউনিয়ন আমীর আবু সাঈদ, মহারাজপুর ইউনিয়ন আমীর সাইফুল্লাহ হায়দার, সেক্রেটারি আওছাফুর রহমান, পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু অনিমেষ রায়, সহ-সভাপতি বাবু চন্দন রায়, বাবু কুমুদ রঞ্জন সরকার, বাবু পন্ডিত পাবন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক বাবু মিন্টু রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু জিবেশ রায়, বাবু সুদীপ্ত রায়, বাবু চিন্ময় রায়, কোষাধাক্ষ বাবু বিষ্ণুপদ রায়, কোষাধ্যক্ষ বাবু অনুপ রায়, বাবু বিধু ভূষণ কয়াল, দপ্তর সম্পাদক বাবু গৌতম রায় প্রমুখ নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, একটি দেশে প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার। একজন মুসলমান যেসব অধিকার নিয়ে বসবাস করবে, একজন হিন্দু-বৌদ্ধ কিংবা খ্রিস্টান সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। কোন শব্দ প্রয়োগ করে কাউকে ছোট করা একটি জঘন্য অন্যায়, শরিয়তে এটা নাজায়েজ।
তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামী সম্প্রীতির বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে। কিছু লোক ধর্মের নামে অর্ধম করে। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সব ধর্মের সমান অধিকারে বিশ্বাসী। আপনার বিশ্বাস করতে পারেন জামায়াত ইসলামীর কাছে আপনারা নিরাপদ। তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আমি বেড়ে উঠেছি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে। এ সম্প্রতি বজায় রেখে আমরা চলতে চাই। দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজায় পরাজিত কোনো শক্তি যেন কোনো ধরনের নাশকতা ঘটাতে না পারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। যখনই হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গাপূজা আসে তখনই একটি মহল ভীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি করে। সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমাল রক্ষা করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী সব সময়হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে সব সময় ছিল, আছে ও থাকবে