স্থানীয় সংবাদ

বাংলাদেশ নৌবাহিনী দিঘলিয়া কন্টিনজেন্ট সদস্য ও গোয়েন্দা সংস্থার জোর তৎপরতায় শান্তিপূর্ণভাবে পূজা পার্বন সমাপ্ত

সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে ঃ সারা দেশের ন্যায় খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই শারদোৎসব।
দিনের শুরুতে দিঘলিয়ার মন্ডগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে বিহিত পূজা। এরপর অনুষ্ঠিত হবে দর্পণ বিসর্জন ও প্রতিমা বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা। স্থানীয় সুবিধা ও আয়োজন অনুযায়ী সারাদেশে শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেবী দুর্গার প্রতিমা নদী বা জলাশয়ে বিসর্জন দেওয়া হবে।
হিন্দুশাস্ত্র মতে, বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গা দোলায় চড়ে কৈলাসে ফিরে যান। এ দিনকে তাই দেবীর বিদায়ের দিন হিসেবে পালন করা হয়। ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য হলো মানুষের অন্তরে থাকা কাম, ক্রোধ, লালসা ও হিংসা প্রভৃতি অসুরিক প্রবৃত্তির বিসর্জন। এসব প্রবৃত্তি ত্যাগ করে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করা এবং শান্তিময় পৃথিবী গড়ে তোলাই এ উৎসবের বার্তা।
দেবী বিদায়ের আগে মণ্ডপে মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় সিঁদুর খেলা। নারীরা দেবীর চরণ থেকে সিঁদুর নিয়ে নিজেদের সিঁথি রাঙিয়ে নেন স্বামীর মঙ্গল কামনায়। পাশাপাশি দেবীকে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর একে অপরকেও সিঁদুর পরিয়ে দেন তারা। পান ও মিষ্টি দিয়ে আনন্দঘন এই আয়োজন শেষে নারীরা শেষবারের মতো দেবীর আরাধনায় অংশ নেন।
পূজামন্ডবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করেছেন যাঁরাঃ- হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা উপলক্ষে মন্ডবের নিরাপত্তা পালনে আনসার সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রতিটা মন্দীরে স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলার কিছু কিছু মন্দিরে পুলিশ স্টান্ড বাই দায়িত্ব পালন করেন। দিঘলিয়া থানা পুলিশের পাশাপাশি সেনহাটি, কামারগাতী ও গাজীরহাটের মাঝিরগাতী পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশ দিঘলিয়ার ৪ টি ইউনিয়নের ৫৮ টা মন্দীর বার বার পরিদর্শন করেছেন। এ সকল টিম সর্বত্র জোরালো ও দায়িত্বশীল টহল অব্যাহত রাখে। আজও বিসর্জন অবধি দায়িত্ব পালন করবেন এমনটায় জানিয়েছেন দিঘলিয়া থানা পুলিশ। এদিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দিঘলিয়া কন্টিনজেন্ট সদস্যরা ৩ টি টিমে ভাগ হয়ে সেনহাটি, দিঘলিয়া, বারাকপুর ও গাজীরহাট ইউনিয়নের ৫৮,টি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন, দায়িত্বে নিয়জিত আনসার, স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্য ও পূজামন্ডবের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের সাথে সকল বিষয়ে মতবিনিময় করেন। মন্দীরে মন্দীরে ভ্রাম্যমান টিম জোর তৎপরতা চোখে পড়ার মত ছিল। বাংলাদেশ নৌবাহিনী দিঘলিয়া কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এর নির্দেশনায় ও নৌবাহিনী গোয়েন্দা তৎপরতায় সকল মন্দীরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বজায় ছিল। অনাকাঙ্খিত কোন প্রকার ঘটনা ছাড়ায় এবারের দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিভিন্ন দলের তৎপরতাঃ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজায় দিঘলিয়া জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদেরসহ উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা ও কুশলাদি বিনিময় করেন। বৃহস্পতিবার সেনহাটি শিব মন্দীরের সামনে কয়েকটা প্রতিমা একত্র হয়ে বিনোদন শেষেএসে রাত ১০টায় বিসর্জন হবে এমনটাই জানিয়েছেন দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button