খালিশপুরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ‘গ্রেপ্তার’

স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অর্ন্তভুক্ত খালিশপুর থানা পুলিশ থানাধীন এলাকায় বিবিধ অপরাধ কর্মকা- নিয়ন্ত্রন ও দমনে থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জের নির্দেশনা মোতবেক নিয়মিত অভিযান ও বিশেষ অভিযান অব্যহত রেখেছে। ওই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১ অক্টোবর) যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত এক আসামীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন- খালিশপুর বঙ্গবাসী এলাকার বাসিন্দা মো. সিদ্দিকের পুত্র মো. মোস্তাক আহম্মেদ (২৬), বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালিশপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মীর আতাহার আলী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে জানতে পারে খালিশপুর থানার এফআইআর নং-১৭, তারিখ- ২০ আগস্ট, ২০২০; জি আর নং-১৮৮(সাজাপ্রাপ্ত), ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড; এর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী বরিশালে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক অফিসার এএসআই(নিঃ) আজিম উদ্দিন সরদার, ও সংগীয় ফোর্স বরিশাল পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে। উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত আসামী যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা করে আদালত।
এ বিষয়ে খালিশপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মীর আতাহার আলী জানান, বুধবার অভিযান পরিচালনা করে বরিশাল থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত এক আসামীকে গ্রেপ্তার করি। বৃহস্পতিবার আসামীকে আদালতে প্রেরণ করি। আদালত গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা করেন।
যশোর জেলা পরিষদের অবকাঠামোকে উপেক্ষা করে কথিত সংস্কার খাত থেকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষটি আধুনিকতার ছোঁয়া দেওয়া হচ্ছে
মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি যশোর থেকে ঃ যশোর জেলা পরিষদের ইতিহাস ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ১৮৮৬ সালে তৎকালীন বৃটিশ আমলের অনুমোদিত স্থাপিত জেলা পরিষদের অবকাঠামোকে উপেক্ষা করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষটির দু’টি দরজা ও দু’টি জানালা এবং ওয়াশরুম ভেঙ্গে আধুনিকতার ছোয়া দেয়া হচ্ছে। নতুন করে আধুনিকতা ছোয়ার খরচের হিসাব নিকাশ কোথা থেকে আসছে সে ব্যাপারে কেউ কোন মুখ খুলছেনা। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া ও দরপত্র আহবান বিহীন জেলা পরিষদের এই ব্যয়ের খাত কিভাবে করা হচ্ছে এটা খোদ জেলা পরিষদে কর্মরত কর্মচারী ও যশোরের বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে নানান প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। বৃটিশ আমলে গড়া যশোর জেলা পরিষদের ঐতিহ্যকে উপেক্ষা করে দরজা ও জ¦ানালাসহ অবকাঠামো পরিবর্তন নিয়ে উঠে এসেছে নানা গুঞ্জন। জেলা পরিষদ সূত্রে জানাগেছে,সম্প্রতি এ পরিষদে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান বদলী হওয়ার পর এ পরিষদে নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োজিত এস.এম শাহীন পদোন্নতি লাভ করে উপসচিব পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি উপসচিব পদোন্নতি পাওয়ার পর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদ শুন্য হওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এস.এম শাহীনকে এ পরিষদে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলীর আদেশ দেন। যার ফলে এ পরিষদে এস.এম শাহীন নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব হওয়ায় তাকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে যোগদানের আদেশ পাওয়ার পর তিনি নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যে কক্ষটি ব্যবহার করতেন সেই কক্ষে অবস্থান নিয়ে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভূক্ত করলেও তিনি তার পূর্বে নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষটিতে বসে অফিস করেন। হঠাৎ করে গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে জেলা পরিষদের ঐতিহ্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষের দক্ষিণ পাশের দু’টি দরজা ও উত্তর পাশে দু’টি জ¦ানালা এবং কক্ষটির পশ্চিম পাশে ওয়াশ রুমের ভিতরের মেঝে ও দেয়ালের প্লাস্টার সংস্কারের জন্য ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। জেলা পরিষদের ঐতিহ্য দরজা ও জ¦ানালা ভেঙ্গে আধুনিকতার ছোয়া দেওয়া নিয়ে খোদ পরিষদে কর্মরত কর্মচারীরা কেউ কিছুই জানেন না। বৃটিশ আমলে গড়া ঐতিহ্যবাহী জেলা পরিষদের অবকাঠানো পরিবর্তন করে যে ব্যয় করা হচ্ছে এর কোন সঠিক হিসাব নিকাশ কাহারও কাছে নেই। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, পরিষদে মিটিং ছাড়া কোন খাত থেকে এই অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের প্রকৌশলী বিভাগে কর্মরত কেউ সুর্নিদিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি। পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, জেলা পরিষদের অর্থ ব্যয় করতে হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে। অনুমোদন ছাড়া কিভাবে যশোরের ঐহিত্যবাহী জেলা পরিষদের বৃটিশ আমলের অবকাঠামো কালের স্বাক্ষি দরজা ও জ¦ানালা ভেঙ্গে আধুনিকতার ছোয়া দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্ন তুলেছে জেলা পরিষদে কর্মরত নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিকাংশ কর্মচারীগন। দরপত্র আহবান ছাড়াই জেলা পরিষদের ঐতিহ্য বিনষ্ট করে অবকাঠামো পরিবর্তনের ব্যাপারে সাংবাদিকরা বর্তমানে প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা এস.এম.শাহীনের সাথে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বলেন,জেলা পরিষদের সংস্কার খাতে অর্থ রয়েছে। যেখান থেকে এই অর্থ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ৩লাখ টাকা সংস্কার এর ক্ষেত্রে দরপত্র আহবান ছাড়া করা সম্ভব। এদিকে জেলা পরিষদ যশোরে নাগরিকগণের প্রাপ্য সেবা ও সুবিধাদি (সিটিজেন চার্টার) এর ১ থেকে ১৩নং ক্রমিকে কোথাও খোদ পরিষদে সংস্কারের ক্ষেত্রে ব্যয় এর খাত কিভাবে হবে এমন কোন দিক নির্দেশনা নেই। আছে প্রদেয় সেবা/সুবিধা,নাগরিকগণ যেভাবে সেবা/ সুবিধা পাবেন, যার সাথে যোগাযোগ করবেন,সোব প্রাপ্তিতে বিলম্ব হলে যাকে জানাবেন ও প্রার্থিত সেবা প্রদানের সর্বোচ্চ সময় লেখা রয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনারসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।