বাগেরহাটে প্রকাশ্যে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার নাই

প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাট জেলা শহরে প্রকাশ্য জনসম্মুখে এএসএম হায়াত উদ্দিন(৪৩) নামের একজন বিএনপি নেতা কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নাই পুলিশ। তবে হত্যাকারীদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে শনিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের আয়োজনে সংবাদ কর্মী এএসএম হায়াত উদ্দিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসুচী করেছে। এ মানববন্ধন কর্মসুচীতে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আসন্ন জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ফকির তারিকুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, সাধারন সম্পাদক তরফদার রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য সংবাদ কর্মীরা। জেলা শহরের হাড়ীখালী এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুবৃর্ত্তরা এ হত্যাকান্ড ঘটায়। নিহত এএসএম হায়াত উদ্দিন (৪৩) বাগেরহাট পৌরসভার উত্তর হাড়িখালী এলাকার মৃত শেখ নিজাম উদ্দিনের ছেলে। সে পৌর বিএনপির সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি সে ভোরের চেতনা নামক একটি পত্রিকার জেলা রিপোর্টার হিসাবে পরিচয় দিতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেলে করে আসা ৪/৫ জন যুবক হায়াত উদ্দিনের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হায়াত উদ্দিন সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বাগেরহাট পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও তিনি পরাজিত হন। এর আগে সে স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মী হিসেবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মোঃ মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানাগেছে পূর্ব বিরোধের জেরে এই হত্যাকা- ঘটেছে। বিষয়টি জোর তদন্ত করা হচ্ছে। শনিবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হায়াত উদ্দিনের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি।