খুলনায় কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ বেশী, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা

# দু’ কারণে বাজার অস্থির #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ মহানগরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। তিন থেকে চার দিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্য কেজি প্রতি ২০০-২২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪১০-৪৫০ টাকায়। ক্রেতা-বিক্রেতা বলছেন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ও বৃষ্টির কারণে অস্থির খুলনার কাঁচা মরিচের বাজার। রবিবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। নগরীতে কয়েকদিন পূর্বে দাম ছিলো ২০০-২৪০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি বন্ধ ও বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। তবে দু’একদিনের মধ্যে দাম কিছুটা কমে আসবে বলে জানান তারা। এদিকে কাঁচা মরিচের ঝাঁজে ক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। রূপসা কেসিসি বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী টেক্কা সর্দার বলেন, “ইন্ডিয়ান বর্ডার বন্ধের কারণে দাম বেড়েছে। বাজারে ঝালের সংকট। আজকে মাত্র চার কেজি কিনেছি। সোনাডাঙ্গা পাইকারি আড়ৎ থেকে মণ প্রতি ১৬ হাজার টাকা দরে কিনেছি।” এ বাজারের অপর ব্যবসায়ী তানভির ইসলাম বলেন, “ভারত থেকে আমদানি বন্ধ। এসময়ে বৃষ্টির কারণেও ঝাল পঁচে যায়। দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতারা কম কিনছেন, আমরাও আড়ৎ থেকে অল্প করে ক্রয় করছি।” সন্ধ্যা বাজারের ক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, “সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না। দাম বাড়ার কারণে কম করে কিনেছি।” সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজারের চরমনাই বাণিজ্য ভান্ডারের প্রোপাইটার মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, “ভারতীয় এলসি বন্ধ থাকার কারণে বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে। তবে রাত থেকে আবারও এলসি শুরু হচ্ছে। ২/১ দিন পর থেকে দাম স্বাভাবিক হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশি কাঁচাঝাল ৩২০-৩৩০ এবং ভারতীয় ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। অন্তত ১০০ বস্তা বিক্রি করেছি। দাম কম থাকলে আরও বিক্রি করতে পারতাম।” খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, খুলনা জেলায় খরিপ-১ মৌসুমে মরিচ চাষ হয়েছে ১৭২ হেক্টর জমিতে। তবে ৩০ হেক্টর জমি অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। এ পর্যন্ত কর্তন হয়েছে ১৪২ হেক্টর। মোট ফলন ১৩৪৯ মেট্রিকটন। সম্প্রতি শীতকালীন চাষের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।