ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে জয়যুক্ত করে সাম্যের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে : মাওলানা আবুল কালাম আজাদ

# কয়রার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও মতবিনিময় #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আমরা পিআর পদ্ধতি চাই। ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে জয়যুক্ত করে সাম্যের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে এদেশে শাসন ব্যবস্থা নায্যতার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। এদেশের মানুষকে ভয় দেখিয়ে আর ভোট নেওয়া যাবে না। তাই আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ওপর আস্থা রাখতে ভোটারদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান জামায়াতের এই নেতা। সোমবার (৬ অক্টোবর) দিনব্যাপী খুলনা-৬ আসনের কয়রা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন মোড়ে ব্যাপক গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন করেন জামায়াতের এই নেতা। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করে পিআর পদ্ধতি নিয়ে সম্যক ধারণা প্রদান করেন। গণসংযোগকালে কয়রা উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সাইফুল্যাহ, উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোল্যা শাহাবুদ্দিন, কর্ম পরিষদ সদস্য হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন আমীর মাওলানা মতিউর রহমান, সেক্রেটারি আবু ইসহাক খান, কয়রা দক্ষিণ থানা ছাত্রশিবির সভাপতি আসমাতুল্লাহ আল গালিব, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা জামিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. সাইদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে জামায়াত দীর্ঘদিন ধরে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। এর বাস্তবায়নের জন্য তারা সরকারের কাছে দুটি প্রস্তাব দিয়েছে-প্রথমত, জুলাই জাতীয় সনদের জন্য একটি ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করা এবং দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়ন করা। জামায়াতের কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো কার্যকর করতে সরকার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাই জনগণের দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের বিকল্প নেই। জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদের পূর্বঘোষিত পাঁচ দফা জনগণের কাছে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তারা দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দলের নেতারা মনে করেন, জনগণের অভ্যুত্থানের রক্তঝরা অর্জন রক্ষা করতে হলে জুলাই সনদের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।