ফেরিঘাট মাদক প্রতিরোধ কমিটির নেতা ওলিকে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকবার হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের

# চিহ্নিত সন্ত্রাসী শামীমসহ আসামী ২০ জন #
স্টাফ রিপোর্টারঃ নগরীর ফেরিঘাট মাদক প্রতিরোধ কমিটির নেতা শেখ ওলিকে (৫৭) হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকবার হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার নির্যাতিত ওলি বাদী হয়ে ২০ জনের নামে সোনাডাঙ্গা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলার আসামীরা হলো একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী শামীম (২৭)। সে শেখপাড়ার বাসিন্দা আমির চাঁনের ছেলে। সজীব (২৬)। সে একই এলাকার আয়ুবের ছেলে। এছাড়া ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনামা। এজহারে উল্লেখ করা হয়, “ গত ২৬ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার সময় সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ফেরিঘাট টিনাবস্তিতে ফয়সাল নামক এক ব্যক্তিকে খুঁজতে যায়। থানা পুলিশ তাকে খুঁজে না পেয়ে ফেরত চলে যায়। মাদক প্রতিরোধ কমিটির নেতা শেখ ওলি নাকি থানা পুলিশকে খবর দিয়ে এনেছে- এই মিথ্যা কথা বলে উক্ত সন্ত্রাসীরা ওলিকে মারার জন্য তার টিনাবস্তির বাড়ীতে প্রবেশ করলে তিনিসহ তার পরিবারের লোকজন বাঁচার তাগিদে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার পূর্বক ঘটনার বিষয়টি রাতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে মিমাংসা করবে মর্মে বাদীকে আশ্বস্ত করে। এ সময় বাদী বাসা বাড়ী হতে তার গ্যারেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে ওই দিন বেলা ১২টার দিকে টিনাবস্তি কালুর মুদি দোকানের সামনে পৌঁছালে উক্ত সন্ত্রাসীরা বাদীর পথরোধ করে ১নং আসামী হুকুম দেয় যে, “শুয়ারের বাচ্চাকে জীবনে জীবনে শেষ করে দে, এই হুকুম পেয়ে উক্ত সন্ত্রাসীরা ওলিকে এলোপাথাড়ীভাবে মারপিট করে তার শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। বাদীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা জীবন নাশের হুমকি দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হওয়ায় বাদীর পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পুলিশ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সন্ত্রাসীরা আবারো হামলা চালায়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ অক্টোবর সকাল ৭টার সময় ওলি বাড়ি হতে বের হয়ে বরদা দত্ত লেনে পৌঁছানো মাত্র পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা উল্লেখিত আসামীগণ ওলির পথরোধ করে এবং ১নং আসামী পুনরায় সকল আসামীদের হুকুম দেয় যে, শুয়ারের বাচ্চাকে আজ পেয়েছি ওকে জীবনে শেষ করে দে, এই হুকুম দিয়ে ১নং আসামী নিজেই তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ওলির মাথা লক্ষ করে বারি মারলে উক্ত বারি তিনি হাত দিয়ে ঠেকালে তার বাম হাতের কব্জিতে লেগে গুরুত্বর হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। সন্ত্রাসীদের হামলায় ওলি মাটিতে পড়ে গেলে উল্লেখিত ২নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর মাথা লক্ষ করে বারি মারলে তিনি সরে গেলে উক্ত বারি তার ডান পায়ের হাটুর উপর লেগে গুরুত্বর হাড় ভাঙ্গা জখম হয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামীগণ তার শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে জখম করে। উল্লেখিত ১নং আসামী তার পকেটে থাকা নগদ ৫হাজার টাকা নিয়ে যায়। ওলির শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা জীবন নাশের হুমকি দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে তাকে গুরুত্বর অবস্থায় চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোনাডাঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, আসামীরা একাধিক মামলার আসামী। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অনেক আগ থেকে খুঁজছে। তবে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, পুলিশ এক আসামী ধরতে গেলে তারা দু’টি মটর সাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ওই মটর সাইকেল জব্দ করে। ওই মটর সাইকেল ফেরত আনার জন্য ওলিকে চাপ দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। ওলি মটর সাইকেলে ফেরত আনতে না পারার কারণে তারা তাকে একের পর এক হামলা করেছে বলে তিনি জানান।