দৌলতপুর লঞ্চঘাট দখলমুক্ত করতে সোমবার পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ’র আল্টিমেটাম

# পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের #
স্টাফ রিপোর্টারঃ দৈনিক প্রবাহ পত্রিকায় “তিন ফ্যাসিস্টের অবৈধ দখলদারীত্ব দৌলতপুর লঞ্চ ঘাট এক বছরেও দখলমুক্ত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ” শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকশের পরপরই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় কেসিসি ও জেলা প্রশাসন মাঠে নামে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ বৃহস্পতিবার দুপুরে লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেছেন। তারা অবৈধ দখলদারদের দখলমুক্ত করতে আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়ে আসছে। এর মধ্যে অবৈধ দখলদার যদি তাদের মালামাল ও স্থাপনা অপসারণ না করে তাহলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ-এর বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপ পরচিালক মাসুদ পারভেজ। অবৈধ দখলদাররা হলেন, যুবলীগ নেতা রানা পারভেজ সোহেল, ৬নং ওয়ার্ড-এর আ’লীগের সাবেক কাউন্সিলর সামসুদ্দীন প্রিন্স ও ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মীর্জা তরফদার-এই তিনজন কোন রকম বরাদ্দ না নিয়েই ঘাট দখল করে বালু, ইট ও পাথরের ব্যবসা পরিচালনা করছে। এই ফ্যাসিস্ট চক্রটি এমনভাবে লঞ্চঘাটটি ভরাট করেছে যে তার অস্তিত্ব পাওয়া কঠিন। এমনকি ওই ঘাটে যাওয়ার সড়কের পাশে ৮/১০টি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে একটি চক্র ভাড়া উঠায়ে খাচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ-এর বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপ পরচিালক মাসুদ পারভেজ বলেন, গত ২৫ সেপ্টে¤র তিন দখলদারকে অবৈধ স্থাপনা ও বালু ইট অপসারণে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশপ্রাপ্ত অবৈধ দখলদাররা হলেন, শাহজালাল ট্রেডার্সের মালিক খায়রুল আলম, মেসার্স কামরুল ট্রেডার্সের মালিক মোঃ কামরুল ও মেসার্স তরফদার ট্রেডার্সের মালিক মিজানুর রহমান মীর্জা তরফদার। এর মধ্যে যুবলীগ নেতা রানা পারভেজ সোহেলের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে খায়রুল আর সাবেক কাউন্সিলর প্রিন্সের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে কামরুল । ওই নোটিশে বলা হয়, আগামী দু’দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা ও মালামাল অপসারণ না করা হলে বন্দর আইন ও বন্দরবিধিমালাসহ ফৌজধারী দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৩১ ও ৪৩২ ধারা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় লঞ্চঘাট পরিদর্শন ও মালামাল অপসারনের জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, বছরের পর বছর ধরে এই তিন ফ্যাসিস্ট লঞ্চঘাট দখল করে বালু, ইট ও পাথরের ব্যবসা করে আসছে। এতে করে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমন কি লঞ্চঘাটটি নদী পারাপারে ঘাট করা নিয়ে চাপ থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ধীরগতি পদক্ষেপ। কারণ দিঘলিয়ার মানুষ এপারে আসতে হয় দৌলতপুর খেয়াঘাট দিয়ে। ওই খেয়া ঘাটটি বাজারের ভিতরে হওয়ায় পারাপারে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দিঘলিয়াবাসীর। তারা খেয়া ঘাটটি লঞ্চঘাটে স্থানান্তরের জন্য আন্দোলন করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ওই ঘাটের একাংশ ইজারা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনাকারি বিএনপি নেতা রিয়াজ শাহেদ বলেন, বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা তার ঘাটের করা অফিসে আসেন। তারা বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। নদীর ভিতর বালু পড়ে যাওয়া নিয়ে কথা বলেছেন। ওই বালু তিনি নদীতে ফেলেননি বলে আগত কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তিনি যেখানে দখলে আছেন তার পৈত্রিক সম্পত্তি আর কিছু জমি লিজ নেয়া আছে।