নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় পাষন্ড স্বামী গৌরাঙ্গ আটক

# রূপসায় নিজের স্ত্রী থাকতেও পরকীয়া
প্রেমে একাধিক বিবাহিত নারীকে বিবাহ #
স্টাফ রিপোর্টার : খুলনার রূপসা উপজেলার কাজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ বর্দ্ধন (৪৬) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলায় আটক হয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) রাতে রূপসা থানা পুলিশের এসআই সৌরভ সঙ্গীয় ফোর্স সহ কাজদিয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলার বিবরনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের সনাতন ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে বাগেরহাট সদর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মনোতোষ দত্তের কন্যা নুপুর দত্তের সাথে রূপসা উপজেলার কাজদিয়া গ্রামের গৌরাঙ্গ বর্দ্ধনের বিবাহ সম্পন্ন হয়। তৎকালীন সময়ে স্বামীকে আসবাবপত্র স্বর্নলংকার ও উপঢৌকন সহ ৪ লক্ষ টাকার মালামাল দেওয়া হয়। বিবাহের পর তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান লাভ করে। কয়েক বছর পূর্বে গৌরাঙ্গ যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী নুপুরকে শারিরীক নির্যাতন করে। একপ্রকার নুপুরের পরিবারের পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। বছরখানেক পরে পুনরায় আবার যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে। এসময় সন্তান প্রতিবাদ করলে তাকেও মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। সর্বশেষ দেড়লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করলে নুপুরের পরিবারের পক্ষে তা দিতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে গত ৩ অক্টোবর দেড়লক্ষ টাকা দাবী করে মারধর ও নির্যাতন করে। এসময় তার পুত্র গোপীনাথ বর্দ্ধন (১৪) এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোক এগিয়ে এলে সে শান্ত হয়। পরবর্তীতে ওদিন নুপুরের ভাই বাপ্পা দত্তকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাগেরহাট থেকে ডেকে আনা হয় এবং স্ত্রী নুপুরকে জোর পূর্বক বাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপরও পাষন্ড স্বামী গৌরাঙ্গ পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে এক নারীকে (৪৫) ঘরে তুলে নিয়ে আসে। জানা যায় উক্ত নারীর পূর্বে একাধিক বিবাহ ছিলো। পুলিশ ১৩ অক্টোবর সকালে আসামীকে কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সৌরভ বলেন, মামলা দায়েরের পর আসামী গৌরাঙ্গ বর্দ্ধনকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আসামীর নিকট থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে যা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে। পরে তাকে কোট হাজতে প্রেরণ করা হয়।